রাজ্যে দু’বছরে স্কুলছুট হয়েছে ১০ লক্ষ পড়ুয়া! দায়ী শিক্ষকের অভাব?

কলকাতা: মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে কমেছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের সংখ্যা! প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে স্কুলছুটের সংখ্যা ছাড়িয়েছে অন্তত ১০ লক্ষ! গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে৷ মিড ডে মিলের আওতায় এসে স্কুলমুখী হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা৷ পশ্চিমবঙ্গে মিড ডে মিলে নুন-ভাত, বিস্কুট দেওয়ার মত উদাহরণ আছে৷

রাজ্যে দু’বছরে স্কুলছুট হয়েছে ১০ লক্ষ পড়ুয়া! দায়ী শিক্ষকের অভাব?

কলকাতা: মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে কমেছে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের সংখ্যা! প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে স্কুলছুটের সংখ্যা ছাড়িয়েছে অন্তত ১০ লক্ষ! গত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে৷ মিড ডে মিলের আওতায় এসে স্কুলমুখী হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা৷ পশ্চিমবঙ্গে মিড ডে মিলে নুন-ভাত, বিস্কুট দেওয়ার মত উদাহরণ আছে৷ আর বিভিন্ন অজুহাতে পড়ুয়ারা একাধিক দিন মিড ডে মিল পায়নি, তেমন ছবি সামনে এসেছে৷ রাজ্য সরকারের মিড ডে মিলের পরিসংখ্যানে ছাত্র-ছাত্রীদের বিপুল হারে কমার কথা কার্যত মেনে নেওয়া হয়েছে!

প্রতি বছরের গোড়ায় সেই বছর কত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিল লাগবে তা কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের জানাতে হয় প্রতিটি রাজ্যকে৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপঞ্জি বলছে, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে ৩ লক্ষ ৩২ হাজার পড়ুয়া কমেছে! মিড ডে মিলের এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-২০১৮ সালে রাজ্যে মিড ডে মিল পেয়েছে ৭০ লক্ষ ৮৬ হাজার ১৭৮ জন৷ দু’বছর পর ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৬৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৪৭ জন মিড ডে মিল পাচ্ছে৷ অন্যদিকে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ প্রাথমিকে ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭১২ জন পড়ুয়া কমেছে৷

তথ্য বলছে, ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে মিড ডে মিল পেয়েছে ৪৮ লক্ষ ২০ হাজার ৯৭৭ জন৷ ২০১৯-২০২০ সালে রাজ্যে ৪১ লক্ষ্য ৩৭ হাজার ২৬৫ জন মিড ডে মিল পাচ্ছে৷ শিক্ষকদের একাংশের মতে, শিক্ষকের অভাবেই স্কুলছুটের সংখ্যা দিনে দিনে লাফিয়ে বাড়ছে! আবার যে শিক্ষকরা রয়েছেন, তাঁদের দিয়ে শিক্ষকতা ছাড়াও অন্য কাজ করানো হচ্ছে৷ ফলে ক্লাসে ঠিকঠাক সময় দিতে পারছেন না শিক্ষকরা৷ গোটা শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো এর কারণ হিসেবে দায়ী করছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *