কলকাতা: দুই সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কারের পর এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থী তালিকায় শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটত চলেছে তৃণমূল৷ বাদ পড়তে পারেন বেশ কয়েকজন তারকা সাংসদ৷ বাদ পড়তে পারেন মুনমুন সেন, সন্ধ্যা রায়, তাপস পাল, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এছাড়াও বেশ কয়েকজন সাংসদের টিকিট বাতিল করতে চলেছে শাসকদল৷ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ও দলের সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে অন্তত চার-পাঁচ জন সাংসদের চেয়ার ছিনিয়ে নিতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল৷ কিন্তু, কেন এই সিদ্ধান্ত?
জানা গিয়েছে, তারকা প্রার্থীদের টিকিট দিয়ে আসন নিশ্চিত হলেও গত সাড়ে চার বছরে একের পর এক সমস্যায় মুখে কড়তে হয়েছে শাসকদলকে৷ কেননা, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন ও সাংসদের পাশাপাশি জনসংযোগ একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল৷ ফলে, এলাকার উন্নয়নও গতি হারাচ্ছিল৷ তারকা প্রার্থীদের ব্যস্ততার কথা মাথায় রেখে গতবারের ভুল এবার সংশোধন করে দিতে চাইছে তৃণমূল৷ আর সেই কারণে, বেশ কয়েক জন তারকা প্রার্থীর চেয়ার ছিনিয়ে বেশ কিছু নতুন মুখ তুলে আনতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
গতবার ৩০-বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে বসে লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, তাপস পাল, শতাব্দী রায়, নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ এবং প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেলিব্রিটি বা তারকা প্রার্থী বলতে যাঁদের বোঝায়, তেমন ১০ জনকে এ বার লোকসভা ভোটে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বাকি তিন জন গায়ক ইন্দ্রনীল সেন ও সৌমিত্র রায় এবং ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া হেরেছেন। বিজেপি দাঁড় করিয়েছিল ছ’জন তারকাকে। সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী, অভিনেতা নিমু ভৌমিক, জর্জ বেকার ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জাদুকর পি সি সরকার (জুনিয়র) এবং গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল সুপ্রিয় বাদে কারও ভাগ্যেই শিকে ছেঁড়েনি। অর্থাৎ রাজ্যে এ বারের ১৬ জন তারকা প্রার্থীর মধ্যে জিতলেন আট জন। যাঁর মধ্যে সাত জনই তৃণমূলের৷ তবে, জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও আদৌও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের৷