কলকাতা: অবশেষে প্রাথমিকে আসতে চলেছে পঞ্চম শ্রেণী৷ জানুয়ারি থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে আসছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়৷ নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে রাজ্যের৷ কিন্তু, পরিকাঠামো অভাব থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তা সম্ভব? জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷
জানানো হয়েছে, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথিকে অন্তর্ভুক্ত হবে পঞ্চম শ্রেণি৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা কার্যকর হবে ধাপে ধাপে৷ যেখানে পরিকাঠামো আছে, সেখানে আগে চালু হবে এই ব্যবস্থা৷ পরে পরিকাঠামো ঘাটতি মিটিয়ে ধাপে ধাপে তা চালু করে দেওয়া হবে৷ পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাস-ফেল নীতি চালুর স্বার্থেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সংবাদমাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিকে নিয়ে আসতে৷ আমরা চাইছি, যেখানে পরিকাঠামো আছে, সেখানে ব্যবস্থা চালু হোক৷ তারপর ধাপে ধাপে করা হবে এই অবস্থা৷’’
অভিযোগ, প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্কুলগুলিতে যে অতিরিক্ত ক্লাসরুম প্রয়োজন, তা এখনও ব্যবস্থা করা যায়নি৷ পরিস্থিতি যা, তাতে প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে আনতে গেলে এখনও প্রয়োজন ৬৫ হাজার শ্রেণিকক্ষ৷ তবে, সেই ঘাটতি কবে মিটবে, তা নিয়েই চলছে চর্চা৷ কেননা, সরকার অর্থ বরাদ্দ করালেও আগামী দেড় মাসের মধ্যে তা শেষ করা কার্ত অসম্ভব বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
ফলে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিকে আদৌ পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করা যাবে কি না, তা নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন৷
পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা বেশ কয়েক বছরের পুরানো৷ কিন্তু, নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হওয়ার আগে এত বিপুল সংখ্যক প্রাথমিক স্কুলে একটি বাড়তি ক্লাস নিয়ে আসার প্রক্রিয়াটা সহজ নয় বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল৷ ক্লাসরুম-সহ শিক্ষক ছাত্রের অনুপাতের বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ৷
জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকে আনার বিষয়ে সরকার গত বছর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে৷ স্কুলের হাল-হকিকৎ খতিয়ে দেখে ওই কমিটি৷ কিন্তু, দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ কাজই বাকি নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ৷ ফলে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নয়া সিদ্ধান্ত আদৌ কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷