বারাসত: বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করতে চাইছে মোদি সরকার। সেজন্য নতুন আয়করের গল্প ফেঁদেছে। পুজো কমিটিগুলিকে নোটিস দিয়েছে কেন্দ্র, বলছে আয়কর দাও। আর ওরা সেই আয়করের টাকা লুটে নিচ্ছে। এবার মোদির গদি থাকলে হয়। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনে এসেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জনগণের চাঁদায় হয় বাংলার দুর্গাপুজো। লাভ করা বা ব্যবসার জন্য কেউ দুর্গাপুজো করেন না। সম্প্রীতি, সংস্কৃতিতে সবাই মিলে আনন্দ করার জন্য পুজো কমিটিগুলি দুর্গাপুজোর আয়োজন করে। মোদি সরকার এবার নোটিস দিয়ে সেই পুজোর জন্য আয়কর চেয়েছে। একি সরকারের টাকায় পুজো? এতো জনগণের চাঁদায় পুজো। তিনি বলেন, প্রত্যেক ক্লাবগুলিকে বলছি ডাকলে যাবেন না, জোট বাঁধুন। কেন আয়কর দেওয়া হবে?দুর্গাপুজো, তিরুপতি, বালাজি, জগন্নাথদেবের মন্দির সবাই আয়কর দেবে, জনগণ আয়কর দেবে আর ওরা লুটে নেবে। জনগণের দেওয়া আয়করের টাকায় মৌজ করবে। আর সেইসব ধনীরা, যাঁদের অর্থবান করার জন্য কেন্দ্র হাজারো সুযোগ সুবিধা দিয়ে রেখেছে, তারা টাকা কামিয়ে ব্যাংক ব্যালেন্স মোটা করে দেশের বাইরে পালিয়ে যাবে। আর বিজেপিবাবুরা গোঁফে তা দেবে। তাদের থেকে আয়কর আদায় করবে কে। যত চাপ সাধারণ মানুষ ও বাংলার পুজো কমিটির উপরে?
এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন, কোনওদিন রোজা, নামাজ পড়ার জন্য আয়কর চাইবে, রান্না করার জন্য গৃহবধূদের থেকে আয়কর চাইতে পারে বিজেপি সরকার এদের ভরসা নেই। ভোটের আগে রাজনৈতিক যাত্রা করে এরা মানুষকে প্রতারণা করছে। আগে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেছিল, বলেছিল, প্রত্যেক দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে এই টাকা যাবে। যায়নি কিন্তু, ফের ভোট এসেছে এবার নতুন করে ১৫ হাজার টাকা দেবে বিজেপি। তারপর ভোট মিটে গেলে ব্যাংক সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য গ্রাহকে চাপ দেবে। ঘটিবাটি বিক্রি করে জনগণকে টাকা শুধতে হবে। এসব মোদিবাবুর খেলা, তার গদি এবার থাকলে হয়।