স্কুলে সমস্ত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: বুলবুলে তাণ্ডবে পিছিয়ে গেল পরীক্ষা সূচি৷ বুলবুল কবলিত এলাকায় পরীক্ষাসূচি পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ আজ নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছেন তিনি৷ শিশু দিবস উপলক্ষে নবান্নে আজ পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি জানান, বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি৷ স্কুলগুলির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ পরীক্ষার্থীরাও সমস্যায় রয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে আছে৷ বাড়িঘর ভেঙে

স্কুলে সমস্ত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: বুলবুলে তাণ্ডবে পিছিয়ে গেল পরীক্ষা সূচি৷ বুলবুল কবলিত এলাকায় পরীক্ষাসূচি পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ আজ নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছেন তিনি৷

শিশু দিবস উপলক্ষে নবান্নে আজ পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি জানান, বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি৷ স্কুলগুলির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ পরীক্ষার্থীরাও সমস্যায় রয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে আছে৷ বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে৷ বিদ্যুৎ নেই৷ কোথায় কোথায় স্কুলগুলিতে ত্রাণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ ফলে পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের৷ আর সেই কারণে পিছিয়ে দেওয়া হোক পরীক্ষা৷

পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সমস্ত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ পরিবর্তে পরবর্তী পরীক্ষা নেওয়া হবে ২ ডিসেম্বর৷ ২৬ নভেম্বরের পরীক্ষা হবে ২ ডিসেম্বর থেকে৷ তবে, তা শুধুমাত্র কার্যকর হবে বুলবুল প্রভাবিত এলাকাগুলির জন্য৷

স্কুলে সমস্ত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

অন্যদিকে, বুলবুলের প্রভাব জেলার স্কুলগুলিতে কমপক্ষে ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে খবর৷ অর্থ দপ্তরের কাছে এই রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে খবর৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে ক্ষতির পরিমাণ সব থেকে বেশি৷ প্রায় দু’কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷ উত্তর ২৪ পরগনায় ক্ষতির তুলনায় কম৷ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা৷ হাওড়া ও হুগলিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা বলে বিকাশ ভবন সূত্রে খবর৷

আকাশপথে বসিরহাটের বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণীঝড় পরিবর্তী সময় থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনা হবে৷ বিদ্যুৎ না থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা ভেবে পড়ুয়াদের হ্যারিকেন ও কেরোসিন বিলির নির্দেশ দেন৷

বুধবার বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ নেই৷ ওঁদের সমস্যা হচ্ছে৷ কী আছে, একটা করে হ্যারিকেন-কেরোসিন দিলে সমস্যা কোথায়? যাঁদের পরীক্ষা আছে, তাদের একটা করে হ্যারিকেন ও পাঁচ লিটার কেরোসিন দিয়ে দাও৷ বই-পত্র যদি নষ্ট হয়, তাহলে জেলা শাসক শিক্ষা দপ্তর থেকে বই কিনে দেবে৷ পরিবার পিছু ১২ কেজি চাল, আলু ডাল দেওয়া হবে৷ ১০ দিন পর থালা-বাটি-স্টোভ-সহ সংসারে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বস্তাবন্দি করে দেওয়া হবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =