গাছের কারণে বিদ্রোহী কন্যা আজ সবুজ রক্ষার মুখ

মণিপুরি: সবুজ রাক্ষার যুদ্ধ নেমে গোটা বিশ্বের চোখে আঙুল দিয়ে বাস্তাব পরিস্থিতি তুলে ধরেছিল ১৬ বছরের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ৷ এবার সেই গ্রেটার সেখানো পথে পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামল মণিপুরের ন’বছর বয়সী এলাংবাম ভ্যালেন্টিনা৷ গ্রেটা গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠ৷ বিশ্ব নেতাদের ক্ষমতা নিয়ে সরাসরি তুলেছিলেন প্রশ্ন৷ গ্রেটার পর এবার মণিপুরি কন্যা দেখালেন

গাছের কারণে বিদ্রোহী কন্যা আজ সবুজ রক্ষার মুখ

মণিপুরি: সবুজ রাক্ষার যুদ্ধ নেমে গোটা বিশ্বের চোখে আঙুল দিয়ে বাস্তাব পরিস্থিতি তুলে ধরেছিল ১৬ বছরের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ৷ এবার সেই গ্রেটার সেখানো পথে পরিবেশ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামল মণিপুরের ন’বছর বয়সী এলাংবাম ভ্যালেন্টিনা৷ গ্রেটা গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠ৷ বিশ্ব নেতাদের ক্ষমতা নিয়ে সরাসরি তুলেছিলেন প্রশ্ন৷ গ্রেটার পর এবার মণিপুরি কন্যা দেখালেন পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান৷

জানা গিয়েছে, মণিপুরি কন্যার পরিবেশের জন্য লড়াই দেখে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ গোড়ে ওঠা গ্রিন মণিপুর মিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছে৷ পার্বত্য অঞ্চলে যথেচ্ছ বনসম্পদ ধ্বংসের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ন’বছরের ছোট্ট মণিপুরি কন্যা৷ সেই খবর সরকারি মহলে পৌঁছে যেতেই সেই মণিপুরি কন্যার হাতেই গ্রিন মণিপুর মিশনের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার৷

গাছের প্রতি ভালোবাসার কারণে শিরোনামে উঠে আসে মণিপুরি কন্যা ভ্যালেন্টিনা৷ গাছ কাটার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ সোশ্যাল দুনিয়ায় ভাইরাল হয় অগস্টে৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে ওই মণিপুরি কন্যা? জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে ভ্যালেন্টিনার বাবা বাড়িতে ১৫টি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা কিনে এনেছিলেন বাড়িতে৷ বাড়ির কাছে মারাইল নদীর ধারে চারাগুলি বাবার সঙ্গে পুঁতেছিল ওই মণিপুরি কন্যা৷ কিন্তু নদীর প্রবল জোয়ারে বেশিরভাগ গাছকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ তবুও কোনোক্রমে বেঁচে যায় দুটি গাছ৷ পরে, সেই গাছ রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কেটে দেয় প্রশাসন৷ প্রশাসনের সেই নির্দেশ মেনে নিতে পারেনি ভ্যালেন্টিনা৷

এই প্রতিবাদে চিৎকার করে সবাইকে ছোট্ট মেয়েটি জানিয়ে দিয়েছিল, ‘‘আমি রোজ গাছগুলি যত্ন করেছি৷ বড় করেছি৷ বন্ধুরা আমাকে গাছে জল দিতে সাহায্য করত৷ আমি এদের মরতে দেব না৷’’ গোটা ঘটনাটি ভিডিও করে রাখেনতার কাকা মোনেন৷ পরে সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তিনি৷ ভিডিও চোখে পড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের৷ এরপরই তিনি টুইটা করে ছোট্ট মেয়ে ভ্যালেন্টিনার প্রশংসা করেন৷ গাছ কাটার নির্দেশ বাতিল করে প্রশাসন৷

গাছের কারণে বিদ্রোহী কন্যা আজ সবুজ রক্ষার মুখ

এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় নতুন পর্ব৷ গ্রিন মণিপুর মিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ভ্যালেন্টিনাকে বেছে নেয় সরকার৷ এই মুহূর্তে নিজের নতুন দায়িত্ব নিয়ে দারুণ উত্তেজিত ভ্যালেন্টিনা৷ মণিপুর রাজ্যে সবুজায়নের লক্ষ্যে সমস্ত বিজ্ঞাপন, প্রচারে অংশ নিচ্ছে ভ্যালেন্টিনা৷ নতুন দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়ে ভ্যালেন্টিনা জানিয়েছে, মণিপুরের এমন বহু অংশ রয়েছে, যেখানে সবুজ নেই৷ ফলে, সেখানে যত বেশি সম্ভব গাছ পুঁততে চাই আমরা৷ এটাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − thirteen =