আইন ভেঙে অবাধে চলছে স্কুল শিক্ষকদের টিউশনি! রাস্তায় পড়ল পোস্টার

সরকারি নির্দেশিকা জারির পরেও আইনকে উপেক্ষা করেই প্রাইভেট টিউশান চালিয়ে যাচ্ছেন অম্বিকাপুর আলতাফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ও লাইফ সায়েন্সের দুই শিক্ষক

বারাসত: নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করার বিষয়ে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হয়ছে রাজ্য সরকারের তরফে। ১০জানুয়ারি ২০২০ থেকে স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর। তবে সরকারি আইন উপেক্ষা করার বিষয়টা সবক্ষেত্রেই যেন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষকরাও ব্যতিক্রম নন। তবে শিক্ষকতার মত পেশায় থেকে অশিক্ষার নজির গড়ছেন বহু শিক্ষক। এর দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ উত্তর ২৪ পরগনার অম্বিকাপুর আলতাফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ও লাইফ সায়েন্সের দুই শিক্ষক৷

সরকারি নির্দেশিকা জারির পরেও আইনকে উপেক্ষা করে দিব্যি প্রাইভেট টিউশান চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই শিক্ষক। শুধু তাই নয় রীতিমতো ভয় দেখিয়ে, শাসিয়ে নিজের বাড়িতে বসেই খোশমেজাজে চলছে প্রাইভেট টিউশান। হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের কাছে টিউশন না নিলে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের প্রজেক্টের নম্বর দেওয়া হবেনা। নির্লজ্জতার সীমা অতিক্রম করে মিথ্যে বলার শিক্ষাও দিচ্ছেন এই দুই শিক্ষক। অর্থাৎ এই টিউশনের বিষয়ে কেউ কিছু জানতে চাইলে ছাত্র-ছাত্রীদের বলতে হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাদের  পড়ানো হয়।

ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের মুখেই বলছে, তাদের এই দুই গুণধর শিক্ষকের নির্লজ্জতার কথা। কারণ যারা এই শিক্ষকদের কাছে টিউশন পড়তে চায় না স্কুলে তাদের সঙ্গে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করেন দুই শিক্ষক। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে এলাকার প্রাইভেট টিউটরদের মধ্যে। প্রাইভেট টিউটর সংগঠনের বক্তব্য, ওই শিক্ষকরা স্কুলে কি পড়ান যে কারণে তাঁদের আলাদা করে স্কুলের ছাত্র- ছাত্রীদের বাড়িতে ডেকে পড়াতে হয়? এই শিক্ষকদের শিক্ষা এবং মানবিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার প্রাইভেট টিউটর সংগঠনের সদস্যরা।

ইতিমধ্যেই তারা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে এবিষয়ে একটি মাসপিটিশন জমা দিয়েছেন। স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এলাকায় পড়েছে বেশ কিছু পোস্টার৷ কিন্তু প্রধান শিক্ষকের নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই এরপরেও প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন গঙ্গানন্দপুর ও বনগাঁর দুই শিক্ষক। এভাবে সরকারি আইন অমান্য করে, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই স্কুল শিক্ষক হয়ে প্রাইভেট টিউশন করার অপরাধে এই দুই শিক্ষকের কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে প্রাইভেট টিউটর সংগঠন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *