রাজ্যে শিক্ষায় বরাদ্দ কমেছে? ‘আকাশ থেকে পড়লে’ন শিক্ষামন্ত্রী! দিলেন জবাব

রাজ্যে শিক্ষায় বরাদ্দ কমেছে? ‘আকাশ থেকে পড়লে’ন শিক্ষামন্ত্রী! দিলেন জবাব

কলকাতা: রাজ্য বাজেটে শিক্ষা ক্ষেত্রে কি বরাদ্দ কমেছে? সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে কার্যত আকাশ থেকে পড়লেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বাজেট পেশ হওয়ার চার দিন পর শিক্ষামন্ত্রী কাছে শিক্ষা বাজেট সম্পর্কে পরিষ্কার  তথ্য না থাকা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্যয় কমানো হয়েছে? আমি এখনও ভালোভাবে পড়িনি৷ আপনারা বলছেন বটে৷ আমি তো দেখলাম বরাদ্দ বেড়েছে৷ তবুও দেখব৷ আর যদি আমি কাজ সম্পূর্ণ করে থাকি, কাজ না থাকলেও আমাকে বাজেটে বরাদ্দ হবে৷ তবুও দেখব, কেন কমানো হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে৷ তবে আমাদের এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষার উপর যথেষ্ট নজর দিয়েছেন৷ আজ রাজ্যে ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে৷ আরও ৫ থেকে ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে৷ আজ রাজ্যে ৫২টি কলেজ তৈরি হয়েছে৷ স্কুল বেড়েছে৷ ৩৪ হাজারের মতো নতুন শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়েছে৷ সুতরাং আর যদি সেই কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকি, তাহলে আর বরাদ্দ দিয়ে কি হবে৷ যা লাগবে আমরা করে দেব৷’’

কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, বাজেট পেশ হওয়ার চারদিন পরও কেন শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে না কি কমেছে? সে বিষয়ে কেন সঠিক তথ্য জানাতে পারলেন না শিক্ষামন্ত্রীর৷ নিজের দপ্তরের বাজেটপড়ে দেখার জন্য ৪ দিনের মধ্যেও একটুও সময় পেলেন না শিক্ষামন্ত্রী? প্রশ্ন তুলছে শিক্ষা মহলের একাংশ৷

বিধিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, গত বছরের তুলনায় এবার  রাজ্যের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে ৬৮.২৬ শতাংশ৷ এবার রিকল্পনা খাত এবং পরিকল্পান বহির্ভূত খাত মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে বাজেটে৷রাজ্য জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ১১৭ লক্ষ ৫৮ হাজার পড়ুয়া মিড ডে মিল পায়৷ ২০২০ সালে তা নেমে দাঁড়িয়ে ১১৩ লক্ষ৷ দু’বছরে উধাও সাড়ে ৪ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী৷ রাজ্য সরকারের বাজেটে জানানো হয়েছে, বিদ্যালয় শিক্ষায় ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা৷ এবার ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের জন্য বিদ্যালয় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা৷ কমেছে ১৮ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা৷ শতাংশের হিসাবে ৬৮.২২ শতাংশ৷ গত বাজেটে উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৯৬৪ কোটি, এবার কমে দাঁড়িয়েছে ৭০০ কোটি টাকা৷ শতাংশের হিসাবে ৮২.৩৪৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *