শিক্ষক নিয়োগে জোড়া সুখবর, নয়া বিজ্ঞপ্তি সার্ভিস কমিশনের

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে- ১. নিয়োগ প্রার্থীদের আবেদন বিবেচনা। ২. ফিজিক্যাল এডুকেশন (পাস) এবং ওয়ার্ক এডুকেশন (পাস) এর ষষ্ঠ স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি) ২০১৩ (এটি)র পরীক্ষা ৩. অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচারদের জেনারেল এবং মিউচুয়াল ট্রান্সফার।

কলকাতা:দীর্ঘ চার বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ৬ জানুয়ারি কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন ২০০৮ সাংবাধানিকভাবে বৈধ। রাজ্যের মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে  মাধ্যমেই সরকারি আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক ও অন্যান্য নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু গত ৬ জানুয়ারি ওই রায়ের পর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বেশ কিছু মাদ্রাসার পরিচালন কর্তৃপক্ষ নিজেরাই সরাসরি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে সমস্ত দিক বিবেচনা করে এবার তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।  ১৩ ফেব্রুয়ারি কমিশনের কার্যপ্রণালী নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে- ১. নিয়োগ প্রার্থীদের আবেদন বিবেচনা। ২. ফিজিক্যাল এডুকেশন (পাস) এবং ওয়ার্ক এডুকেশন (পাস) এর ষষ্ঠ স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি) ২০১৩ (এটি)র পরীক্ষা৷ ৩. অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচারদের জেনারেল এবং মিউচুয়াল ট্রান্সফার। বিস্তারিত জানা যাবে কমিশনের ওয়েবসাইট www.wbmsc.com -এ অথবা যোগাযোগ করতে হবে 033-2321-6315 এই নম্বরে।

একই সঙ্গে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মাদ্রাসার সমস্ত শূন্যপদের তালিকা জানাতে হবে৷ শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের সংখ্যাও পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে৷ শূন্যপদের তালিকা তৈরি করার পর শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করার ইঙ্গিত দিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন৷

রাজ্যে প্রায় সাড়ে ছশো সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসা রয়েছে৷ আইনি জটিলতার কারণে ২০১৪ সালে পরীক্ষা নিয়েও নিয়োগ করতে পারেনি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। ফলে মাদ্রাসাগলিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার শূন্যপদ রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *