কলকাতা: কলকাতা পুলিশের উপর চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে এনআরএসে কুকুর শাবক হত্যাকাণ্ডে ধৃৃত দুই নার্সকে জামিন মঞ্জুর করল শিয়ালদহ আদালত৷ আজ, আদালতের তরফে কলকাতা পুলিশকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করা হয়৷ বলা হয়, ‘‘এতবড় অপরাধে জামিন যোগ্য ধারা কেন? অহেতু এই মামলা শুনব কেন৷’’ পরে, ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করা হয়৷ তবে, এখনই মুক্ত হতে পারবেন না দুই নার্সিং পড়ুয়া৷ বৃহস্পতিবার টিআই প্যারেড করার পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে৷ এখনও দু’দিন জেল হেফাজতেই থাকতে হবে দুই পড়ুয়াকে৷ নতুন করে মামলা দেওয়া যায় কি না, তা পরে বিবেচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ এদিন এই ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশু প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা৷
জানা গিয়েছে, এদিন দুই নার্সিং পড়ুয়াকে আজ শিয়াদহ আদালতে পেশ করা হয়৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা খতিয়ে দেখে পুলিশকে এক হাত দেন আদালত৷ গুরুতর অপরাধে কেন জানিনযোগ্য মামলা? তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ এদিন পশুপ্রেমী সংগঠনেক তরফে নতুন মামলা দেওয়ার দাবি জানানো হয়৷ কিন্তু, তদন্তচলাকালীন নতুন মামলা দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়৷ পুলিশের উপর রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করে আদালত৷
এনআরএস হাসপাতালে কুকুর শাবকদের পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে বুধবার দুই নার্সিং ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ দুই নার্সিং পড়ুয়ার গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বড়সড় আন্দোলনের ডাক দেন নার্স সংগঠনের৷ আগামী তিন দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে কর্মবিরতির ডাকও দেন৷ আজ, এই মর্মে নার্সিং পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের মধ্যে বিক্ষোভ দেখান৷
এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পার্কিং লটে ১৬টি কুকুরছানাকে মারধর করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে৷ সোমবার বেলগাছিয়ার প্রাণিসম্পদ বিভাগের মর্গে ওই কুকুরগুলির ময়নাতদন্ত হয়৷ তাতেই উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ পুলিশ ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রের খবর, ১৬টির মধ্যে ১০টি কুকুরছানার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন ময়নাতদন্তকারীরা৷ পাঁজরেও ব্যাপক মারধর করার চিহ্ন রয়েছে৷ বাকি ছ’টি কুকুরছানার যকৃৎ, পাকস্থলী সহ একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে মারাত্মক আঘাত রয়েছে৷ আঘাতের প্রকৃতি থেকে মনে হয়েছে, কোনও কিছু দিয়ে সম্ভবত পিটিয়ে মারা হয়েছে তাদের৷