কলকাতা: কেন্দ্রের সাহায্য না নিয়ে তাজপুর ও কুলপির প্রস্তাবিত সমুদ্র বন্দর একাই গড়বে রাজ্য সরকার৷ এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের খরচ হবে অন্তত ১৩ হাজার কোটি টাকা৷ আজ, নবান্নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ না নিয়ে সমুদ্র নির্মাণ করবে রাজ্য সরকার৷ এই সংক্রান্ত পরিকল্পনাও স্থির হয়ে গিয়েছে৷ শীঘ্রই বন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর৷ আগামী চার বছরের মধ্যে তাজপুরে প্রস্তাবিত সমুদ্র বন্দর বাণিজ্যিক ভাবে কাজ শুরু করতে পারবে বলেও জানানো হয়েছে৷ তাজপুরের পাশাপাশি কুলপি বন্দর রাজ্য নিজেরাই করবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারির কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
এর আগে, কেন্দ্রীয় সরকার তাজপুরে সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার জন্য ওই প্রকল্পে ৭৪ শতাংশ অংশিদারিত্ব দাবি করেছিল৷ রাজ্য সরকার ২৬ শতাংশের বেশি দিতে রাজি ছিল না৷ এ নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল৷ পরে, কেন্দ্রের দাবি মেনে অংশিদারিত্ব বাড়ানো হলেও প্রকল্পের জন্য উৎসাহ দেখায়নি কেন্দ্র৷ টাকা চেয়েও মেলেনি৷ মূলত, এই অভিযোগ তুলে তাজপুর বন্দর গড়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রকে বাদ দিয়েই প্রকল্পনা রূপায়ন করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের৷
হলদিয়া ডকের নাব্যতারজনিত সমস্যার জন্য ইউপিএ আমলে সাগরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ ২০১০৬ সালের মাঝামাঝি গঠিত হয় বিশেষ কমিটি৷ কিন্তু , রাজ্য তাজপুরে একটি বেসরকারি বন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করায় ৫০ -৬০ কিলোমিটার দূরে সাগরে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর আর্থিক ভাবে লাভজনক হবে না বলে জানায় কেন্দ্র৷ তারা রাজ্যের কাছে প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের সিংহভাগ অংশিদারিত্ব দাবি করে৷ তাতে আপত্তি জানায় রাজ্য সরকার৷ পরে, কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনে নেওয়া হলেও কেন্দ্রের তরফে আর কোনও উদ্যোগ দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ৷ পশ্চিমবঙ্গে কুলপি ও তাজপুর বন্দর নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে দুবাইয়ের সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড৷ মনে করা হচ্ছে, বন্দর নির্মাণে ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে রাজ্য