সংখ্যালঘু উন্নয়নে উদার সরকার, তবুও ঠিকঠাক বেতন পান না সেই মাদ্রাসার শিক্ষকরা!

কোনও মাসেই পয়লা তারিখে মাইনে হয়না মাদ্রাসার এসএসএ শিক্ষকদের। একমাসের বেতন পরের মাসের ২২ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে হয়। এমনকি কখনও, দুমাস পরেও বেতন হয়েছে। নতুন বছরেও বেতন হোলনা মাসের পয়লা তারিখে।

বেতন বৃদ্ধির দাবি মিটলেও সময়মতো বেতন পাওয়ার বিষয়ে কোনও সুরাহা হলোনা মাদ্রাসার এসএসএ শিক্ষকদের। রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশের বেতন হয় সর্বশিক্ষা অভিযানের তহবিল থেকে সেখানে  শুধুমাত্র মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন দেরিতে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। এবছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসের অর্ধেক দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত বেতন পেলেন না মাদ্রাসার একাংশের শিক্ষক-শিক্ষিকা। অথচ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীন সমস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা যাঁরা সর্বশিক্ষা অভিযানের তহবিল থেকে বেতন পেয়ে থাকেন মাসের প্রথমেই বেতন পেয়ে গিয়েছেন। মাদ্রাসার এই শিক্ষকদের বেতনের দাবিতে এবার সরব হল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন কেন এই শিক্ষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন তা খতিয়ে দেখা উচিত শিক্ষা দপ্তরের। অবিলম্বে তাঁদের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

ছাপনা হাই মাদ্রাসা (নিউটাউন)র শিক্ষক সেক এসকার আলি বলেন, আমরা ডিআই অফিসে অনেক বার গিয়েছি ডিআই বারবার জানান যে মাদ্রাসায় অ্যালটমেন্ট নেই। তাই রাজ্যের বিভিন্ন মাদ্রাসায় যাঁরা সর্বশিক্ষা মিশনের ফান্ড থেকে বেতন পেয়ে থাকেন তাঁদের আজও ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে বেতন পাননি। তিনি বলেন, অ্যালটমেন্ট না থাকলে কারো ক্ষেত্রেই থাকবে না। শুধুমাত্র মাদ্রাসা শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বাকি থাকবে কেন? এটা এক ধরনের চক্রান্ত। আমরা আতঙ্কিত। বেতন না পেয়ে আমরা সংকটে রয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকদের মাইনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসএসকে শিক্ষকদের ৫ হাজার ৪০০ থেকে বেড়ে ১০ হাজার টাকা হয়েছে। এমএসকে শিক্ষকদের ৮ হাজার ৯৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩ হাজার টাকা হয়েছে। বর্ধিত বেতনের টাকা গত ডিসেম্বর মাসে পেয়েছেন এসএসকে-এমএসকে শিক্ষকরা। তবে নতুন বছরের পয়লা তারিখের বেতন এখনও হাতে আসেনি।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কোনও মাসেই পয়লা তারিখে মাইনে হয়না তাদের। একমাস কেটে যাওয়ার পর পরের মাসের ২২ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে বেতন হয়। এমনকি কখনও, দুমাস পরেও বেতন হয়েছে। বেতনের পাশাপাশি বকেয়াও থেকে যায়। তিন, চার মাস অবৈতনিক কাজ করতে হয়। মন্ত্রী, আধিকারিকদের কাছে ঘুরে ঘুরে বকেয়া আদায় করতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *