কলকাতা: মিডডে মিলের চাল ও আলু বিলির শনিবারের মধ্যেই করতে হবে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিল শিক্ষা দফতর। করোনা পরিস্থিতির জেরে আগামী সপ্তাহে এই ধরনের কোনও কর্মসূচি রাখতে চায় না বলেই শিক্ষা দফতর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল থেকেই চাল-আলু বিলি করা হবে৷
করোনার জেরে স্কুল বন্ধের নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। তাই শুক্রবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সোমবার ও মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের মধ্যে মিডডে মিলের চাল ও আলু বন্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অবিলম্বে এই কাজ শেষ করতে চায় সরকার। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, '২ কেজি চাল ও আলু শিক্ষা দফতর আজকেই পৌঁছে দিতে চেষ্টা করবে। আজ থেকেই শুরু করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আজকে থেকেই বন্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে আমরা এটা জানিয়েছি।'
তবে পূর্ব বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রবিবারও স্কুল খোলার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কাল তো রবিবার। তাঁরা (শিক্ষক-শিক্ষিকা) আসবেন কী করে!' তিনি আরও বলেন, 'বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে না। স্কুল থেকেই সমান ভাগে বন্টনের ব্যবস্থা করা হবে। প্যাকেট করে দেওয়া হবে প্রত্যেককে। ১০ জনের বেশি একসঙ্গে লাইনে দাঁড়াতে পারবে না। এই কাজ শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।'
তড়িঘড়ি এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, 'আমরা পরবর্তী সপ্তাহ থেকে এই ধরনের কাজের মধ্যে থাকব না। তার আগে আজকের মধ্যেই যতটা পারি বন্টনের ব্যবস্থা করা হবে।' এই তৎপরতা যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যই, সেই কথাও শোনা গেছে শিক্ষামন্ত্রীর বয়ানে। করোনা পরিস্থিতিতে সবাই সমানভাবে সতর্ক থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘রবিবার প্রধানমন্ত্রীর জনতার কার্ফু ডাক দেওয়ার দিন রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে চাল ও আলু বিতরনের জন্য শিক্ষকদের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত অবাস্তবোচিত৷ এমনিতেই ওই দিন রাস্তাঘাটে যানবাহন বা দোকানপাট খোলা থাকবে না৷ এর মধ্যেই এই নির্দেশিকা জারি করে কেন পরিস্থিতিকে জটিল করা হচ্ছে? অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হোক৷’’