উচ্চমাধ্যমিকে বাকি পরীক্ষা কবে? বর্ধিত স্কুল ফি নিয়ে হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর

উচ্চমাধ্যমিকে বাকি পরীক্ষা কবে? বর্ধিত স্কুল ফি নিয়ে হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা:  লকডাউনে বন্ধ সমস্ত-স্কুল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়৷ প্রাইভেট টিউটররাও টিউশন বন্ধ করেছেন৷ ফলে সমস্যায় পড়েছে হাজার হাজার পড়ুয়ারা৷ আবার কোথাও সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করেই ফি নিয়ে চলছে বেসরকারি স্কুলগুলির জোরাজুরি৷ এই পরিস্থিতিতে মহানগর২৪-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷

ফেসবুক লাইভে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের সুবিধার্থে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু টিভি চ্যানেলে ক্লাস নেওয়া চালু হয়েছে৷ পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং অনলাইনের মাধ্যমেই চলছে পঠন-পাঠন৷ একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আবার নিজেদের উদ্যোগে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে৷ সবকিছুর মাঝেও পড়াশোনার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই চেষ্টায় ব্রতী রাজ্য সরকার৷ এক্ষেত্রে সরকার ছাত্রছাত্রীদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনীল৷

পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, এই সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফি না বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ সরকারি নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছেল, এই মুহূর্তে যেমন ফি বৃদ্ধি করা যাবে না তেমনই লকডাউনের মধ্যে ফি চাওয়া যাবে না৷ অভিভাবকদের উপর কোনও রকম চাপ সৃষ্টি করা চলবে না৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও এই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হচ্ছে৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ আজও আরও একবার বলতে চাই, সরকার যে নির্দেশনামা দিয়েছে তা মেনে চলুন৷ এটা আমার অনুরোধ৷ এর আগে ফি নিয়ে জোরাজুরি করলে বেসরকারি স্কুলের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এদিন পার্থবাবু আরও জানান, স্কুলে-স্কুলে মিড-ডে মিলের চাল দেওয়া হয়েছে৷ আমাদের রাজ্যে জানুয়ারি মাস থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়৷ সেই মতো সমস্ত জায়গায় বই পৌঁছে গিয়েছে৷ একাদশ শ্রেণির যে সমস্ত বই রয়েছে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার জন্য তা অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ছাত্রছাত্রীরা পেয়ে যাবেন৷ ছাত্রদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থা আমরা করেছি৷ শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ, ‘‘যাঁরা এই সকল বিষয়ে জানেন না, তাঁদেরকে এই সকল সুবিধাগুলোর কথা জানান৷ সকলকে যাতে পড়াশোনার সুযোগ পায়, সেই সহযোগিতা করুন৷’’

তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও পড়ুয়াকে আটকানো হবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতেও প্রতিটি ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হবে৷ একাদশ শ্রেণির সকল ছাত্রছাত্রীকেও পাস করানোর কথা বলা হয়েছে৷ উচ্চমাধ্যমিকে যে পরীক্ষা বাকি আছে, সেই বিষয়ে ১০ জুনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ এর আগে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গেছে৷ খাতা দেখা হচ্ছে৷ উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা বাকি আছে৷ সেই পরীক্ষাগুলো জুন মাসে হবে৷’’ একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশ করানো হবে বলেও জানান তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =