লকডাউনের পর কী ভাবে খুলবে প্রিস্কুল-ডে কেয়ার সেন্টার? জারি নির্দেশিকা

লকডাউনের পর কী ভাবে খুলবে প্রিস্কুল-ডে কেয়ার সেন্টার? জারি নির্দেশিকা

নয়াদিল্লি:  সারা দেশে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত ও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে উঠেছেন বাবামায়েরা৷ লকডাউন ওঠার পরও তাঁরা তাঁদের ছোটছোট ছেলেমেয়েদের প্রিস্কুল কিংবা ডে কেয়ার সেন্টারে পাঠাবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন৷ সন্তানদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার চিন্তা ঘুম কেড়েছে অভিভাবকদের৷ এই অবস্থায় প্রিস্কুল এবং ডে কেয়ার সেন্টারগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল আর্লি চাইল্ডহুড অ্যাসোসিয়েশন (ECA) এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রাইমারি এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (APER)৷ 

প্রিস্কুল অথবা ডে কেয়ার স্কুলে পাঠানোর আগে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মী এবং অভিভাবকরা কী কী পদক্ষেপ করবেন, সেই বিষয়ে ৫৪ পাতার দীর্ঘ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ এই নির্দেশিকায় প্রথমে বয়সে একটু বড় শিশুদের স্কুলে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ এর পরে পাঠানো হোক খুদেদের৷ নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই অবকাশে সিলেবাস শেষ করার জন্য শিক্ষকরা যেন পড়ুয়াদের উপর বাড়তে চাপ না দেন৷ পড়াশোনার জন্য বাচ্চাদের উপর যাতে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া না হয়, অভিভাবকদের কাছে সেই আর্জিও জানানো হয়েছে৷  সেই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলতে হবে৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও পড়ুয়াদের খুঁটিনাটি যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানাতে হবে৷ যেমন তারা কীসে করে যাতায়াত করছে, তাদের কোনও অসুস্থতা আছে কিনা প্রভৃতি বিষয়৷ 

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যে সকল বাচ্চা প্রতিদিন বাসে করে যাতাযাত করে, বাসে ওঠার আগে তাদের প্রতিদিন থার্মাল চেকিং করতে হবে৷ পাশাপাশি যে সকল স্কুলে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে কমন ডাইনিং এরিয়ার বদলে ক্লাসরুমেই খাবার দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে৷ এছাড়াও ঝুঁকি এড়াতে প্রিস্কুলগুলিতে আপাতত লাইব্রেরি থেকে বই ইস্যু করা হবে না৷ একই খেলনা নিয়ে শিশুদের খেলতে দেওয়া হবে না৷ 

গাইডলাইন অনুযায়ী, ক্লাস শুরু করার আগে এই সকল স্কুলগুলির শিক্ষক এবং সহায়িকাদের সতর্কতা অবলম্বনে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷  তাঁদের সোশ্যাল ডিস্টেনসিং, স্যানিটাইজেসন এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে৷ 
 

ECA এবং APER-এর প্রেসিডেন্ট স্বাতী পোপাট ভাটস বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার জেরে অভিভাবক এবং প্রিস্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রচন্ড উদ্বেগ দেখা দিয়েছে৷ কিন্তু আমরা জানি, এত সহজে করোনা থেকে মুক্তি মিলবে না৷ তাই আগামী দিনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়াই ভালো৷ গত কয়েক বছর ধরে প্রিস্কুলগুলিকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে৷ আমরা চাই না অভিভাবকরা এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে হালকা ভাবে নিক৷ এতে শিশুদের সামগ্রিক শিক্ষার উপর প্রভাব পড়বে৷’’  অভিভাবকদের কাছে তাঁকে আবেদন, তাঁরা যেন স্কুল ফি দেওয়া বন্ধ না করেন৷ কারণ, ফি দেওয়া বন্ধ হলে অধিকাংশ স্কুল চালানোঅ সম্ভব হবে না৷ 

শিক্ষা সংক্রান্ত খবর পেতে নজর থাকুক AajBikel.com-এর পাতায়…


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *