নয়াদিল্লি:করোনা ভাইরাসের জেরে দেশের অবস্থা সুবই সঙ্গিন। এখন সবথেকে বেশি চাপে এবং ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। বহু চিকিৎসক, নার্স, এবং স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে একাধিকের। এই করুণ পরিস্থিতির মধ্যেই আশার আলো দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ঘটনায়। এর জানা গেছিল, মুম্বইয়ের একদল তরুণ-তরুণী ‘খানা চাহিয়ে’ নামক এক উদ্যোগের মাধ্যমে দরিদ্র এবং আশ্রয়হীন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। এবার রাজধানীতে প্রশংসনীয় কীর্তি করল যমজ ভাই-বোন। বীর ওজাস এবং মান্য আনন্দী, দু’জনেই সবে মাত্র একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত। কিন্তু এই বয়সেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যার্থে নিয়োজিত হয়েছে তারা।
দেশে যখন কোভিড-১৯ অতিমারির প্রকোপ শুরু হয় তখন থেকেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কীভাবে অবদান রাখা যায় তা নিয়ে ভাবতে থাকে বীর এবং মান্য। জানতে পারে দেশে, মাস্ক, পিপিই কিট, গ্লাভসের আকালের কথা। এরপর রীতিমতো গবেষণা করে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে কাজে নেমে পড়ে দুই ভাই-বোন। পকেটমানি বাঁচিয়ে সঞ্চিত অর্থ পুরোটা ব্যয় করেই বানিয়ে ফেলে ১০০০ মাস্ক এবং ১০০০০ গ্লাভস। এরপর আরও অর্থ সংরহ করতে পরিবার পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবের দ্বারস্থ হয় তারা। সংগৃহীত অর্থে ৫০০ পিপিই কিট বানিয়ে গুরগাঁওয়ের সিভিল হাসপাতালে দান করে।
এ যাবত দু’জনে মিলে প্রায় চার লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছে। এই টাকায় বানানো গেছে ৫০০ হ্যাজম্যাট স্যুট, ১০০০ মাস্ক, ৮৫০০-এর বেশি নাইট্রাইল গ্লাভ্স এবং ৫০০-র বেশি জুতোর আবরণ। বীর জানিয়েছে, এই নিয়ে গবেষণা না করলে কিছুই সম্ভব হত না। এই দুই যমজ ভাইবোনের সেবামূলক কাজকর্মের নজির অবশ্য এই প্রথম নয়। নবম শ্রেণি থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচিতে জড়িয়ে আছে বীর এবং মান্য।