নয়াদিল্লি: অনলাইন পরীক্ষায় নারাজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান শাখা৷ ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের জন্য প্রস্তাবিত অনলাইন পরীক্ষার বিরুদ্ধে মতামত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠাল সোসিওলজি ডিপার্টমেন্ট৷ এর বদলে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের পূর্ববর্তী সেমিস্টার এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে একটি ‘আনুমানিক নম্বর’ দেওয়ার প্রস্তাব জানিয়েছে তারা৷
গত ১৪ মে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল, ১ জুলাই থেকে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শুরু হবে৷ সেই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, জুলাই মাসেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ওপেন বুক এগজামিনেশন নেওয়া হবে৷ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘‘অনলাইন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, ডিজিটাল কোর্সের উপকরণ, ছাত্রাছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া এবং তাঁরা যে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে, তার ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞান শাখার অধ্যাপকরা অনলাইন পরীক্ষা বিরুদ্ধে মতামত জানাচ্ছেন৷’’
এর আগে সমস্যার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারাও৷ তাঁরা জানান, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা রয়েছে৷ সংযোগের অভাব ছাড়াও হঠাৎ করে ওপেন বুক স্টাইলে পরীক্ষা নেওয়া হলে নতুন পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে পড়ুয়াদের৷ এই সমস্যা মোকাবিলায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সুপারিশ, ফাইনাল ইয়ারে সেমিস্টার পরীক্ষার বদলে শেষ সেমিস্টার এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হোক৷
এছাড়াও দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টারের যে সকল পড়ুয়া নিজেদের পারফরম্যান্সের আরও উন্নতি ঘটাতে চান, তাঁদের জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আর্জিও জানানো হয়েছে৷ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের অভিমত, ২০২০ স্নাতক ব্যাচ এবং এই গ্রীষ্মে যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁদের ব্যাচের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো যেতে পারে৷
শিক্ষা সংক্রান্ত খবর জানতে নজর থাকুক AajBikel.com-এর পাতায়…