আজ বিকেল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে এই ব্রিগেড সমাবেশ মহাজোটের প্রথম আত্মপ্রকাশের মঞ্চ। এই দেখেই মোদির ঘুম উড়েছে। সভামঞ্চে পৌঁছতে দেরি হওয়ার জন্য মোদি-শাহকে একহাত নিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সাফ জানিয়ে দিলেন, মোদিই ইডি, সিবিআইয়ের জুজু দেখিয়ে তাঁর পথরোধের চেষ্টা করেছেন। যাঁরাই বিজেপিকে সমর্থন করেন না, তাঁদেরই ভয় দেখান মোদি ও তাঁর দলবল। তবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, মহাজোটের ধারকরা ভয় পায় না।
মোদিকে কটাক্ষ করে তেজস্বী বলেন, আপনি যতোই চৌকিদারি করুন, দেশের জনতা পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। বিজেপির অন্যায়কে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবে। তাই তো মহাজোটের মঞ্চ, আমরা সবাই সুঁচের ভূমিকা পালন করছি, মহাজোটের সূতো দিয়ে দেশ নামক কাপড়কে জুড়ব। আজ দেশ বাঁচাতে তলোয়ার নয় এই সূঁচেরই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন, তাই তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর মোদি, তিনি তো মিথ্যে কথার ফুলঝুরি ছোটান। মুখ খুললেই মিথ্যের খই ফোটে, তাঁর তো মিথ্যের কারখানা রয়েছে। মাইকের সামনে গেলেই মিথ্যে কথা শুরু, একটা মিথ্যে বলবেন, সঙ্গে ছটা বিনামূল্যে বিতরণ করবেন। তিনি লোক দেখানো রাজনীতি করেন, বাকিটা তো ধর্মীয় বিভাজন।
বাংলায় বসবাসকারী বিহারি ভাইদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য, মোদি আপনাদের ধোঁকা দিয়েছে। বিহারের মানুষ ইমানদারিতে বিশ্বাস করে, তাই বিশ্বাসঘাতকদের শাস্তি দিতে কখনওই পিছপা হয় না। হোক না তা বিজেপি, ছাড়াছাড়ির প্রশ্নই ওঠে না। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী মহাজোটে শামিল হন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন। মহাজোটকে সফল করতে বিজেরপির কালা ধান্দা রুখে দিন।