ম্যাঙ্গালুরু: কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকে বদলেছে শিক্ষার ধরন৷ ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে পড়ুয়ারা পৌঁছে গিয়েছে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়৷ শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল বিপ্লবের দরজা খুলে দিয়েছে কোভিড-১৯৷ সেইসঙ্গে বদলেছে শিক্ষকদের ভূমিকাও৷ তবে স্টাডিরুম কখনই স্কুল-কলেজের বিকল্প হতে পারে না৷ ছাত্রছাত্রীরাও একইভাবে মিস করেছে তাদের ক্লাসরুমের চক- ব্ল্যাকবোর্ড, সমানে দাঁড়িয়ে শিক্ষকদের পড়া বোঝানো, খেলাধুলো আর শারীরিক অনুশীলন৷ সম্প্রতি ASSOCHAM-Primus Survey – তে উঠে এসেছে এমনই তথ্য৷
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮৮ শতাংশ পড়ুয়াই অনলাইনের বদলে স্কুলের ক্লাসরুমকেই বেশি নম্বর দিয়েছে৷ স্কুলের বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষকদের পড়ানো আর স্কুলের মাঠে ছুটোছুটি করতে না পেরে তাদের মন খারাপ করছে৷ এর মধ্য ৫১ শতাংশ পড়ুয়াই আবার স্কুলের বিভিন্ন এক্সট্রাক্যারিকুলার অ্যাকটিভিটি যেমন- শারীর শিক্ষা, খেলাধুলা, হাতের কাজ, গান ও নাচের ক্লাস করতে না পেরে হতাশ৷
সম্প্রতি কর্ণাটকের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের ৪৬৬ জন পড়ুয়া এবং ৪৮৩ জন শিক্ষিক-শিক্ষিকাকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল ASSOCHAM-Primus Survey৷ গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন৷ বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি৷ তবে সরকারের উদ্যোগ ও সহযোগিতায় শুরু হয় অনলাইন ক্লাস৷ সমীক্ষার ফলাফল বলছে, ‘‘শক্তিশালী টেলিকম পরিকাঠামোর সুবাদে সহজেই ডিজিটাল ক্লাস শুরু করা গিয়েছে৷ স্কুলগুলিও সুন্দরভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷’’
ASSOCHAM –এর সাধারণ সম্পাদক দীপক সুদ বলেন, পড়ুয়ারা আগামীদিনে যদি এইভাবেই নিজেদের স্মার্ট ফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারে ক্লিক করেই শিক্ষা অর্জন করে কিংবা নিজেদের টেকনিক্যাল দক্ষতা বাড়িয়ে তোলে তাহলে ভবিষ্যতে নতুন করে সংজ্ঞায়িত হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা৷ শুধুমাত্র ক্লাসরুমে পড়ানোর মধ্যেই আবদ্ধ থাকবেন না তাঁদের ভূমিকা৷ বদলে যাবে শিক্ষার পরিকাঠামো৷
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশ পড়ুয়া জানিয়েছে, ক্লাসরুমের পরিবেশের বাইরে শিক্ষিকের উপস্থিতি ছাড়া পড়া বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তাদের৷ বাড়িতে বসে স্কুলের পরিমণ্ডল তৈরি করা কখনই সম্ভব নয়৷ তবে ৩৭ শতাংশ পড়ুয়ার দাবি, বাড়িতে বসেই ভালো পড়াশোনা করছে তারা৷