কলকাতা: প্রায় ৩ মাস হতে চলল, করোনার গেরোয় বন্ধ স্কুল৷ অনলাইন, টিভিতে পঠন-পাঠন শুরু হলেও তা খুব একটা সাফল্য পাইনি৷ বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ঢাকঢোল পিটিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পঠন-পাঠান শুরু হলেও হঠাৎ তা উধাও হয়ে গিয়েছে বিনা নোটিসে৷ দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় কীভাবে শেষ হবে সিলেবাস? এবার এই সমস্যা সমাধানে কমছে স্কুলের সিলেবাসের ঝক্কি৷
জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সঙ্কুচিত হচ্ছে সিলেবাস৷ তবে, শুধুমাত্র চলতি বছরের জন্য তা কার্যকর করা হতে পারে৷ কতটা সিলেবাস কমানো হবে, তা নিয়ে শিক্ষকদের পরামর্শ চেয়েছে শিক্ষা দফতর৷ সেই পারামর্শ বিশেষজ্ঞ কমিটিকে খতিয়ে দেখতে আর্জি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কোন বিষয়ের কতটা সিলেবাসে কাটছাঁট করা হবে, নির্ভর করছে স্কুল খোলার উপর৷ জুলাই মাসে স্কুল খুলোরার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে৷ তিন-চার মাস বন্ধ স্কুলে পঠন-পাঠনের ক্ষতি পুষিয়ে সিলেবাস নির্ধারিত হতে পারে জানা গিয়েছে৷ স্কুল খোলার মেয়াদ বেড়ে যদি আগস্ট পর্যন্ত গড়িয়ে যায়, তাতেও সিলেবাসে বড়সড় কাটছাঁট হতে পারে৷
নতুন করে ক্লাস শুরু হলে সিলেবাসের ধাঁচ পুরোপুরি বদলে যেতে পারে৷ গোটা পরিস্থিতি মাথায় রেখে শিক্ষা দপ্তর একাধিক পরিকল্পনা তৈরি করে রাখতে চাইছে৷ কিন্তু, নতুন করে স্কুল খুললে কেমন হতে পারে পাঠ্যক্রম? টানা স্কুল বন্ধ থাকায় প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে? ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিত জেলায় বহু স্কুল ক্ষতিগ্রস্থ, বেশিরভাগ স্কুলে শ্রমিকদের অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করা হয়েছে৷ ঝড়ে বহু পড়ুয়ার বইখাতা নষ্ট হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে সিলেবাস শেষ করা নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে৷
করোনার জেরে এপ্রিলে মাসের পরীক্ষা হয়নি৷ সেপ্টেম্বেরে দ্বিতীয় সামেটিভ হওয়ার কথা৷ এরপর মাধ্যমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট হওয়ার কথা৷ সেস্টের আগে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রথম ও দ্বিতীয় ক্লাস টেস্ট একসঙ্গে হতে পারে৷ অথবা ৩টি পর্যায়ের সিলেবাস মিশিয়ে একটা পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে৷ তবে কোন প্রস্তাব কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা৷