খোলা হোক স্কুল, কমানো হোক সিলেবাস, বলছেন HRD মন্ত্রী

খোলা হোক স্কুল, কমানো হোক সিলেবাস, বলছেন HRD মন্ত্রী

44e3cab5e811bfc7962aaad8e57666e6

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের গ্রাসে দেশের অন্যান্য এলাকার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানীও। যার জেরে দফায় দফায় জারি হয়েছে লকডাউনের নির্দেশ। অফিস-কাছারি ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করলেও এখনও বন্ধ স্কুল-কলেজ। বরং চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলছেন, অনলাইন ক্লাস কখনওই স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার স্থায়ী বিকল্প হতে পারে না। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক-কে পাঠানো এক চিঠিতে মনীশ বলেন, যেহেতু জনগণকে করোনা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই চলতে শিখতে হবে, তাই শিক্ষাঙ্গনগুলোরও সেই ভূমিকা নেওয়া উচিত।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সমীক্ষায় জানানো হয়েছিল, ন’ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা সবথেকে কম। এই সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করেই মনীশ স্কুল ক্ষোলার কথা বলেন। তিনি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই দায়িত্ব না দেওয়া ঐতিহাসিক ভুল হতে পারে। তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের সমস্ত বয়স এবং সামাজিক শ্রেণির শিশুদের আশ্বাস দিতে হবে, তারা সবাই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের স্কুলের তরফে শারীরিক এবং মানসিক উপস্থিতিতে শিক্ষালাভের সমান অধিকার আছে সবার। শুধুমাত্র অনলাইন পড়াশুনো এবং বয়সে বড় শিশুরা স্কুলে যতে পারবে, একদম ছোটরা পারবে না, এমন চিন্তাভাবনা বাতিল করা উচিত।

সিসোদিয়া জানিয়েছেন, অবশ্যই উপযুক্ত আগাম সতর্কতা নিয়েই সবকিছু করতে হবে। এই লকডাউনের পিরিয়ডে পড়াশোনার ঘাটতি মেটাতে ৩০ শতাংশ সিলেবাস কমিয়ে দেওয়ার কথাও তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘করোনা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে চলার ক্ষেত্রে বিশ্বের সমস্ত দেশের স্কুলে বড় পরিবর্তন দেখা যাবে। এখন আমাদের ভাবতে হবে, দেশ ও সমাজের প্রয়োজন অনুসারে এবং আমাদের মহান ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নিজেরাই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে সাজাব, নাকি অন্য দেশ কী করে সেটা দেখে তা ‘কপি-পেস্ট’ করব।’ উপমুখ্যমন্ত্রিত্বের সঙ্গে দিল্লির শিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা মনীশ সিসোদিয়া বলছেন, একদম নিচুতলা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্ষদ পর্যন্ত শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন কিছু ভাবা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *