বন্ধ স্কুল, খোলা আকাশের নিচে পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু বিশেষ ক্লাস, শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া

বন্ধ স্কুল, খোলা আকাশের নিচে পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু বিশেষ ক্লাস, শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া

শালবনী:  করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৪ মার্চ থেকে সারা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন৷ মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার কিছু দিুন আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে এ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷ এই অবস্থায় পড়ুয়ারা যাতে পিছিয়ে না পরে, সে জন্য শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস৷ কিন্তু প্রান্তিক অঞ্চলের পড়ুয়াদের কাছে অনলাইন পড়াশোনা নেহাতই গল্পকথা৷ তাই এই পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে এই সকল পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়ার আবেদন জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই সোমবার জঙ্গলমহলের শালবনীর রাধামোহনপুর আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ 

বাংলার পাশাপাশি জঙ্গলমহল শালবনীর রাধামোহনপুর আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অলচিকি ভাষায় পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অধিকাংশ প্রথম প্রজন্মের প্রান্তিক ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে অলচিকি ও বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা চালু থাকা এই বিদ্যালয়ে সোমবার শিক্ষক শিক্ষিকারা স্পেশ্যাল ক্লাসের ব্যবস্থা করেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তন্ময় সিংহ বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি৷ এই সংকটের সময়েও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই এই সময় রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে৷ তাদের পাশে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের থাকার প্রয়োজন রয়েছে৷’’  

এই স্পেশাল ক্লাসের প্রয়োজনীয়তা কী, তা বাংলা ভাষায় ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে বলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক তন্ময় সিংহ ও নম্রতা খাঁ৷ অলচিকি ভাষায় তাঁর ব্যাখ্যা করেন অসীম দোলই ও নির্মল মান্ডি। সদর উত্তর চক্র তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তন্ময় সিংহ চক্র জেলার সমস্ত বিদ্যালয়গুলোতে এই ধরনের বিশেষ ক্লাস শুরু করার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন৷  এদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নম্রতা খাঁ ছাত্রছাত্রীদের পড়া বুঝিয়ে দেন এবং তাদের সপ্তাহে দু-তিন দিন করে স্কুলে আসার কথা বলেন৷ অন্যদিকে, শিক্ষক অসীম দোলই অলচিকি ভাষায় পড়ুয়াদের হোমটাস্ক বুঝিয়ে দেন৷ পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে কী ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে, তা বুঝিয়ে দেন বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষক নির্মল মান্ডি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *