তৃণমূলকে মুছে দিন বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ বন্ধ করব,অমিত শাহ

আজ বিকেল: মমতা সরকারকে বাংলা থেকে মুছে দিন, কাউকেই আর সিন্ডিকেট কর দিতে হবে না। এরাজ্যে তৃণমূল সরকার হল ধ্বংসপ্রাপ্ত ট্রান্সফর্মারের মতো, তাই তাকে উপড়ে ফেলতে হবে। বাংলার মানুষের কাছে হাত জোড় করে বলছি, রাজ্য বাঁচাতে মোদি সরকারকে ফের কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনুন। মালদহের জনসভা থেকে এভাবেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত

তৃণমূলকে মুছে দিন বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ বন্ধ করব,অমিত শাহ

আজ বিকেল: মমতা সরকারকে বাংলা থেকে মুছে দিন, কাউকেই আর সিন্ডিকেট কর দিতে হবে না। এরাজ্যে তৃণমূল সরকার হল ধ্বংসপ্রাপ্ত ট্রান্সফর্মারের মতো, তাই তাকে উপড়ে ফেলতে হবে। বাংলার মানুষের কাছে হাত জোড় করে বলছি, রাজ্য বাঁচাতে মোদি সরকারকে ফের কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনুন। মালদহের জনসভা থেকে এভাবেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

এ রাজ্যে রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি সুপ্রিমকোর্ট। মহাজোটের ব্রিগেড সমাবেশের পর প্রায় কোণঠাসা কেন্দ্রীয় সরকার নয়া চমক আনতে চলেছে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে। ঠিক তার আগেই মালদহে জনসভা থেকে বিজেপি সমর্থকদের একবার চাঙ্গা করতে চাইলেন অমিত শাহ। মহাজোটকে কটাক্ষ করে তৃণমূলনেত্রীকে একহাত নিলেন তিনি। মহাজোটে প্রধানমন্ত্রীর লাইন পড়েছে, কাকেছেড়ে  কাকে ভোট দেবেন। এসব ঝামেলায় না গিয়ে এনডিএ-র এক নেতা নরেন্দ্র মোদিকেই ভোটটি দিন। মমতা সরকারকে  একবার ভূলুন্ঠিত করুন তাহলেই এই আবর্জনার মধ্যে পদ্ম ফুটবে। আর পদ্ম ফুটলেই সুজলা সুফলা বাংলা ফের ফিরবে। তৃণমূল সরকার তো কল কারখানা তুলে দিয়েছে, এখানে গুলি, বোমা বন্দুকের কারখানা চলে। একবার ক্ষমতায় আনুন বাংলাদেশের হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেব। আর অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধ কড়া ব্যবস্থা নেব। নাগরিকত্ব বিল তো মমতা দিদি মানতে চান না, এখানকার সরকারি কর্মচারীরা অনেক কম মহার্ঘ্যভাতা পান, তালে টাকা কোথায় যায়। সেসব তো মমতা নিজে নেনে, বাকিটা অনুপ্রবেশকারীদের কল্যাণে খরচ হয়। মালদায় নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদের একমাত্র যোগ্য প্রমাণিত করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে কার্যত তুলোধনা করলেন অমিত শাহ।

এদিন বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেন, আমাকে এখানে সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না, হেলিকপ্টার নামতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। আগের বার তো কেস দিয়ে দিল, এবারও দেবে নিশ্চই। এই যে মহাজোট হল তার ফল কী হবে। মমতা সরকার এখানে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে, কলকারখানা তুলে দিয়ে বন্দুক বোমা বানানো চলছে। পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী নেতাদের ধরে ধরে খুন করা হল, লোকসভা নির্বাচনে তা ঘটতে দেওয়া যাবে না। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোটের দায়িত্বে থাকবে। বুথ নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তৃণমূল নেতৃত্বদের থেকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসেব বুঝে নেবে বিজেপি। মোদির আয়ুষ্মান ভারত বিমার সুযোগ আটকাচ্ছে রাজ্য। মমতা পুলিশ পোস্ট অফিসে গিয়ে হাঙ্গামা করছে, গরীবের হক বন্ধ করে দিচ্ছে। একবার বিজেপিক ক্ষমতায় আনুন সব স্বাভাবিক করে দেব।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 11 =