নয়াদিল্লি: কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিতেই হবে৷ সে অনলাইনে হোক কিংবা অফলাইনে, পরীক্ষা না নিলে নিস্তার নেই! এবার আরও একদফা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ পাঠাল ইউজিসি৷ কীভাবে পরীক্ষা নিতে হবে, তা জানিয়ে বিস্তারিত গাইড লাইন ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ইউজিসির ওয়েবসাইটে৷ দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চিঠি৷ কেন্দ্রের তরফে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি অনড় পক্ষেপ নেওয়া হলেও বাংলা কী হবে? তা নিয়ে এখনও রয়েছে জোর ধোঁয়াশা৷ কেননা, করোনা আহবে বাংলার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা বাতিল করে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার৷ সেই অনুযায়ী চলছে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া৷ এবার সেই সমস্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যে ইজিসির চিঠি ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি৷ জল্পনা বাড়িয়েছে মামলায় মাদ্রাসা হাইকোর্টের নয়া পর্যবেক্ষণ৷
গত ৬ জুলাই ইউজিসির জারি করা পরীক্ষা গাইডলাইন আরও একবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিতেই হবে৷ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পরীক্ষা৷ স্বাস্থ্যবিধি মাথায় রেখে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তার বিস্তারিত বিবরণও পাঠানো হয়েছে৷ চিঠিতে জানানো হয়েছে, অনলাইন কিংবা অফলাইন, যে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিতে হবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইউজিসির নয়া নির্দেশিকা ঘিরে আরও বাড়ছে জল্পনা৷ ইউজিসির নির্দেশিকা মেনে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কী পদক্ষেপ নেবে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা৷ চরম সমস্যায় পড়েছেন বাংলার কয়েক লক্ষ পড়ুয়া৷
অন্যদিকে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালেয়র পরীক্ষা জট কাটাতে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিয়েছেন ধনকর৷ প্রয়োজনে ইউজিসি ও কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও টুইটে নিজের অবস্থান জানালেন রাজ্যপাল৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে আজ দুপুরে টুইট করে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘বিভিন্ন সূত্র থেকে ছাত্রদের উদ্বেগের কথা আমাকে জানানো হয়েছে৷ ১৫ জুলাই উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলব৷ সমাধান জরুরি। প্রয়োজনে UGC এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব। আমি ছাত্রদের প্রতি দায়বদ্ধ।’’
কেন্দ্রের নির্দেশ প্রসঙ্গে আগেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গোটা বিষয়টি উচ্চশিক্ষা নজর রাখছে৷ পরীক্ষা হবে কী হবে না, আদৌ হবে কি না, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর ছেড়ে দিতে চাইছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়গুলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ঠিক করবে৷ তবে, শিক্ষা দফতর সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন৷ উচ্চশিক্ষা দফতর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই সময় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷
যদিও একটি মামলায় মাদ্রাসা হাইকোর্ট আজ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইউজিসির গাইডলাইন পরামর্শমূলক হওয়া উচিত, বাধ্যতামূলক নয়৷ ফলে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর৷