গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ আরও এক অন্তঃসত্ত্বা

কলকাতা: ফের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অন্তঃসত্ত্বা৷ ভ্রূণের বয়স ২৬ সপ্তাহ৷ ২০ সপ্তাহের বেশি সময়ের ভ্রুণ থাকায় গর্ভপাত করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে৷ আইনানুসারে, ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে আদালতের নির্দেশ ছাড়া গর্ভপাত করা যায় না৷ ফলে, গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন অন্তঃসত্ত্বা৷ মঙ্গলবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর কাছে আবেদনকারীর আইনজীবী

গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ আরও এক অন্তঃসত্ত্বা

কলকাতা: ফের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অন্তঃসত্ত্বা৷ ভ্রূণের বয়স ২৬ সপ্তাহ৷ ২০ সপ্তাহের বেশি সময়ের ভ্রুণ থাকায় গর্ভপাত করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে৷ আইনানুসারে, ভ্রূণের বয়স ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে আদালতের নির্দেশ ছাড়া গর্ভপাত করা যায় না৷ ফলে,  গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে শেষপর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন অন্তঃসত্ত্বা৷

মঙ্গলবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর কাছে আবেদনকারীর আইনজীবী অপলক বসু ও কল্লোল বসু জানান, আবেদনকারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই চিকিৎসকের কাছে যান৷ সেই সময় ধরা পড়ে গর্ভস্থ সন্তানের একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে৷ এরপর দম্পতি একাধিক চিকিৎসকদের কাছে যান৷  সেখানেও চিকিৎসকরা আবেদনকারীর শারীরিক পরীক্ষা করে জানান গর্ভস্থ সন্তানের হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে৷ ভ্রুণের স্নায়ুতন্ত্রের গঠনও অসম্পূর্ণ৷ ওই শিশু জন্মালে সুস্থ এবং স্বাভাবিক থাকবে না৷ দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে৷ সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করতে করতেই পেরিয়ে যায় ২৫ সপ্তাহ৷

এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জন্মের পরই শিশুটির মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে৷ কারণ ভ্রুণের গঠন স্বাভাবিক নয়৷ শিশুটির হৃদপিন্ডের গঠন অসম্পূর্ণ৷ তাই গর্ভপাত করাতে চান বেলেঘাটার ওই মহিলা৷ আবেদনকারী বেলেঘাটার আবেদনকারীর বয়স ৩৯ বছর৷ তাঁর স্বামীর বয়স ৫০৷ তাঁদের ১৫ বছরের একটি মেয়েও আছে৷ সম্প্রতি আবেদনকারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি৷ এই মহিলা ২৫ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ায় কোনও চিকিৎসকই রাজি হননি গর্ভপাত করাতে৷ আবেদনকারীর আইনজীবী অপলক বসু বলেন, ‘আবেদনকারী গৃহবধূ৷ তাঁর স্বামী একটি বেসরকারি সংস্থায় ছোটখাটো চাকরি করেন৷ ওই অবস্থায় ওই সন্তানের জন্ম দিলেও তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং যত্ন নেওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি তাঁদের নেই৷ সেই কারণেই তাঁরা গর্ভপাতের অনুমতি চান৷’ তিনি জানান, ‘দম্পতি তিনটি নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন৷ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজেও গিয়েছিলেন৷ কোনও চিকিৎসকই রাজি হননি৷ শেষে রবিবার তাঁরা এসএসকেএমে যান৷ সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেন আবেদনকারীর আইনজীবীরা৷ এর আগে জানুয়ারি মাসেরই দ্বিতীয় সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৪ সপ্তাহের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা৷ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী যোধপুর পার্কের বাসিন্দা ওই মহিলার আবেদনে সাড়া দিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট দেখে অনুমতিও দেন৷

এদেশে পরিস্থিতি বিচার করে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার আইন রয়েছে আগে থেকেই৷ ১৯৭১ সালের গর্ভপাত আইন অনুযায়ী, গর্ভধারণের ২১ সপ্তাহের মধ্যে জটিলতা দেখা দিলে কোনও অন্তঃসত্ত্বা গর্ভপাত করাতে পারেন৷ কিন্তু ওই সময়সীমার পরে গর্ভপাত করাতে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন৷ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ২৬ সপ্তাহের এক অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ নয়, এই কথা জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতার ওই মহিলা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − six =