মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের ডিম ও সয়াবিন দেওয়ার দাবি শিক্ষক মহলের একাংশের

মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের ডিম ও সয়াবিন দেওয়ার দাবি শিক্ষক মহলের একাংশের

11f064ceeb148a3e2e982c8ba478608b

কলকাতা:  করোনা আবহে সারা ভারতের পাশাপাশি  বাংলার অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা  শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ারের ওপর জোর দিচ্ছেন।  কিন্তু গত তিনমাস ধরে স্কুল বন্ধ থাকছে। যার জেরে বন্ধ মিড-ডে মিল।  রাজ্য সরকার মিড-ডে মিলেও আওতায় থাকা শিশুদের বাড়িতে চাল, ডাল ও আলু পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু এতে শিশুরা কতটা পুষ্টি পাবে, সেই নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, দেওয়া হোক ডিম ও সয়াবিন।

মিড-ডে মিলের আওতায় রয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ পড়ুয়া।  তাঁদের মধ্যে অনেকেই গরিব। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ, যে রাজ্য সরকারের মিড-ডে মিল গেলে তবেই খাওয়া জুটবে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধের প্রথম দিকে দুই কিলো চাল ও আলু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  পরে পড়ুয়াদের ডাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু চাল, ডাল, আলুতে কতটা পুষ্টি পাওয়া যাবে সেই নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক মহলের একাংশের।  সঙ্গে ডিম বা সয়াবিন দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হন্ডা জানিয়েছেন, মিড-ডে মিল বন্ধ থাকার জন্য যে খরচ হওয়ার কথা, তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সয়াবিন ও ডিম পড়ুয়াদের দেওয়া যেতে পারে।  এতে লক্ষ লক্ষ গরিব পড়ুয়া উপকৃত হবেন। শিক্ষকদের তরফে জানানো হয়েছে, চাল ও ডালের সঙ্গে  ২২টাকার হাতশুদ্ধি  বা স্যানেটাইজার দেওয়া হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, খাবারের টাকায় এগুলো কেন দেওয়া হবে।

মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেছেন,  মিড-ডে মিলের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার পেলে  পড়ুয়ারা সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়বে।  স্কুল চলার সময় পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ থাকে, সেটুকু অন্তত স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে বরাদ্দ থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *