পূর্বস্থলী: চোখ বাঁধা। সেখান থেকে দেখতে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র স্পর্শ করে হু হু করে পড়ে যাচ্ছে বই, সংবাদপত্র। গন্ধ শুঁকেই বলে দিতে পারছে কি জিনিস। পূর্বস্থলীর বালকের এহেন কাণ্ডে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন এলাকাবাসীরা। চারিদিকে বালকের চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তন্ত্রমন্ত্রের জেরে সে এই শক্তি পেয়েছে। যদিও বালকের দাবি, সে নিয়মিত যোগ অভ্যাস করে। সেখান থেকেই সে এই ক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছে।
পূর্বস্থলীর ধাড়াপাড়ার বাসিন্দা গৌরব। গৌরবের বাবা জানায়, প্রথম থেকে সে একটু দুর্বল প্রকৃতির ছিল। তাই ছোটবেলা থেকে যোগ ব্যায়ামের জন্য নবদ্বীপে পাঠান। তিন বছর আগে নবদ্বীপে যোগব্যায়াম করতে যেত। সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস করত। ছমাস শিখেছিল যোগব্যায়াম। গৌরবের কাকা জানান, তন্ত্রসাধনা কিছুই নয়, আসলে যোগব্যায়ামের স্যার তাকে এটা শিখিয়েছিল। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ গৌরবের বাড়ির সামনে ভিড় করতে শুরু করেছে।
জানা যায় রবিবার কাকা ও শিক্ষকের সঙ্গে স্টেশন বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েকজন মানুষ তাকে যোগ দেখানোর অনুরোধ করে। গৌরবও রাজি হয়ে যায়। জানা যায়, নানাভাবে তাকে পরীক্ষা করা হয়। কখনও চোখের ওপর তুলো দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হয় তো, কখনও টাকার নম্বর, নতুন বই দেওয়া হয়। ওই বালক সঠিক বলে দেয়। এতেই অবাক হয়ে যান বাজার চত্বরের মানুষ।