ক্যানিং: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার বোলসিদ্ধি কালীনগর অঞ্চলের ষাটমণীষা গ্রামের দুঃস্থ পরিবারের দুই মেধাবী রাসনা খাতুন ও সুহানা খাতুন৷ দু’জনের উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকে সেরা ফল করেছে৷ বড় মেয়ে রাসনা উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছেন ৯৬.৪ শতাংশ৷ সুহানা মাধ্যমিকে নিজের গ্রামের স্কুল থেকে পেয়েছে ৮০.২ শতাংশ নম্বর। কিন্তু উচ্চশিক্ষার সামর্থ্য নেই পরিবারের। তাই তাদের পাশে দাঁড়াল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ।
ওই দুই মেধাবী পড়ুয়ার বাবা ওমরসিস দর্জির কাজ করেন। আমফানে তাঁদের বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। ওমরসিস জানান, গত পাঁচ মাস রোজগার না থাকায় বড় মেয়ের কন্যাশ্রী'র টাকায় সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ওমরসিস বলেন, “ওদের জন্য আমি কিছুই করতে পারিনি, বরং ওদের টাকায় আমি সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু তারপরেও ওরা দুজনেই এত ভাল ফল করেছে। ওদের উচ্চশিক্ষার জন্য তাই আমি শিক্ষামহলে আবেদন করি।” এই আবেদনের ডাকে সাড়া দিয়ে স্থানীয় বিডিও তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রাসনার স্বপ্ন, ইংরাজি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করবে৷ তারপর ডব্লুবিসিএস বা আইএএস নিয়ে পড়ে রাজ্যের প্রশাসনিক কাজ করবে৷ এদিকে লকডাউনে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে, কিন্তু তাদের বাড়িতে না আছে স্মার্টফোন না আছে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ।
স্থানীয় বিডিও সূত্রে জানান হয়েছে, ২৯ তারিখ দুপুরে বিডিও মিলন তীর্থ সামন্ত ওমরসিসে'র বাড়িতে যাবেন। তাদের যথাযথ সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। মিলন বাবু জানান, ‘‘আমি ওই দুজন বাচ্চাকে শুভেচ্ছা জানাব। আমফানের ক্ষতিপূরনের টাকা এখনও পায়নি ওই পরিবার, এই ব্যপারটিও আমি দেখছি।’’ ইতিমধ্যেই কৃতি দু’মেধাবীর উচ্চ শিক্ষায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে দিকে নজর রেখেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ৷