কলকাতা: চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার জন্য আপাতত আরও বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে ডিএলএড বা ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশনের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের৷ প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ডিগ্রি এখন আবশ্যিক৷ পরীক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও করোনা আবহে সেই পরীক্ষা করে হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷
২০১৮-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও করোনা অতিমারী পরিস্থিতির জন্য এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ কবে পরীক্ষা হবে, কীভাবে হবে, এসব প্রশ্ন নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন রেজিস্ট্রেশন করে রাখা প্রায় ৩৫ হাজার পরীক্ষার্থী৷
পড়ুয়াদের এই সমস্যা প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বড় কোনও পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে এখনই কোনও ছাড়পত্র দেওয়া যাচ্ছে না৷ ডিএলএডের চূড়ান্ত বর্ষের যে তিনটি পেপারের পরীক্ষা হবে, তা থিওরি নির্ভর৷ ফলে এই মুহূর্তে বিকল্প মূল্যায়নের সুযোগ নেই৷ পরীক্ষার্থীরা আর একটু ধৈর্য ধরুক৷ যথাসময়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনিশ৷
অন্যদিকে, পড়ুয়াদের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের যদি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের উপর নম্বর দেওয়া ব্যবস্থা চালু হয়ে থাকে, তাহলে তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন না কেন? যদিও করোনা আবহে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষা ছাড়াই দ্বিতীয় বর্ষে তুলে দেওয়া হয়েছে৷