কলকাতা: সোমবার থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে ফোনে পাঠদানের বিশেষ ব্যবস্থা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এই সুবিধা এনেছে বিকাশ ভবন। প্রথম দিনেই ১১ হাজার পড়ুয়া ফোন করে তাদের পড়া জেনেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি অনেক জেলার পড়ুয়াই যোগাযোগ করতে পারেনি টোল ফ্রি নম্বরে। ওই সব জেলায় এখনও এই পরিষেবা চালু হয়নি, কবে হবে সেই নিয়েও ধোঁয়াশা শিক্ষা মহলে।
আরও পড়ুন: চাকরি না পেয়ে ‘চপ-শিল্পে’র দোকান খুললেন হবু শিক্ষক, ‘দিদি’কে উৎসর্গ SSC-PSC উত্তীর্ণ প্রার্থীর
সোমবার বীরভূমে এই পরিষেবা শুরু করা হয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের প্রায় সবকটি জেলায় এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বিকাশ ভবন। কিন্তু জানা গেছে, এখনও কিছু কিছু জেলায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ চলছে। তাই সেই সমস্ত অঞ্চলে এখনও শুরু করা যায় টেলি ক্লাস। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, হুগলির, মতো জেলায় পরিষেবা চালু করা যায়নি। এই প্রসঙ্গে নদিয়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক কুণালকান্তি রায় সিংহ জানিয়েছেন, সরকারের তরফ থেকে এই কর্মসূচির জন্য মাত্র একজন জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষকের নাম এসেছে। ফলে এখানে এখনও শিক্ষক না থাকায় শুরু করা যায়নি পরিষেবা।
আরও পড়ুন: লকডাউনে কী কী কাজ করেছেন শিক্ষকরা? নাম ধরে হিসাব নেবে বিকাশ ভবন
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে টেলি ক্লাস। পশ্চিম বর্ধমানের ক্ষেত্রে ১২ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে দুই দলে ভাগ করা হয়েছে। সপ্তাহে তিন দিন করে দুই দল পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। প্রথম দল সোম, বুধ, শুক্র এবং দ্বিতীয় দল মঙ্গল, বৃহস্পতি, ও শনি বার পড়ুয়াদের পড়াবেন। বাঁকুড়ার বিজে হাইস্কুলের পড়ুয়া সুস্বাগতম রজকের কথায়, টোল ফ্রি নম্বরে লাইন পেতে অসুবিধা হয়নি এবং ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা শিক্ষক তাকে খুব ভাল ভাবেই পড়া বুঝিয়ে দিয়েছেন। বোলপুর নিচুপট্টি উচ্চবিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক সৌভিক ঘোষ বলেছেন, ‘প্রথম দিন আমি মোট ৩৭টি ফোন পেয়েছি, মঙ্গলবার সেখানে ৮০টি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়া জানতে চেয়ে ফোন করছে।’
অন্যদিকে, রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানিয়েছেন, প্রথম দিনেই এই কর্মসূচি সাড়া ফেলেছে, প্রায় ১১ হাজার পড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে কিছু পড়ুয়া লাইন পায়নি। সেক্ষেত্রে শিক্ষা মহল হেল্প লাইনের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ইতিমধ্যেই ভেবেছে। শুধু নবম ও দশম নয়, সঙ্গে অন্যান্য শ্রেণির পড়ুয়াদেরও এই সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।