D.El.Ed শংসাপত্র নিয়ে চরম বিভ্রান্তি! NIOS-র নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা

গত ৭ আগস্ট এনআইওএস হঠাৎ করেই নির্দেশিকায় জানায় ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁদের উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই তাঁরা শংসাপত্র পাবেন না। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে ওই সমস্ত শিক্ষকদের পুনরায় পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর আপগ্রেড করতে হবে। এর ফলে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক পাশ করা শিক্ষকদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছেন সেনা বাহিনীর জাওয়ানরাও।

 

কলকাতা: কয়েকদিন আগেই এনআইওএস নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর না থাকলে ডিএলএড শংসাপত্র হাতে পাবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ফলে সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ৷ শংসাপত্র না পেয়ে শিক্ষকদের একাংশ বর্ধিত বেতন পাচ্ছিলে না বলেও ওঠে অভিযোগ৷ কর্মরত অবস্থায় এই শংসাপত্র না পাওয়ায় এক অনিশ্চিত অবস্থার সামনে পড়তে হয়েছে তাঁদের৷ রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা বোর্ড এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে৷ এই অবস্থায় ডিএলএড শংসাপত্র পেতে আবেদন করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন একাধিক শিক্ষক৷

প্রদীপ রায়, ভাস্কর বিশ্বাস, চন্দন দাম সহ একাধিক শিক্ষক শিক্ষিকারা এই আবেদনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আবেদনে তাঁরা জানিয়েছেন, এনসিটিসি বা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টিচার্স ট্রেনিং শিক্ষার অধিকার আইনে বলেছিল ২০১৯ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত হতে হবে। কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যেই এনআইওএস গঠন করা হয়। এর ফলে ওপেন ডিস্ট্যান্ট লার্নিং মোডে শিক্ষকেরা প্রশিক্ষিত হতে পারতেন। পরে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানায়, এই সংস্থা ডিএলএড শংসাপত্র দেবে। এনসিটিসি এই সংস্থাকে বৈধতা দিয়েছিল।

অপ্রশিক্ষিত অবস্থায় কর্মে যোগদান করা শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ২ বছরের কোর্সে এনআইওএস চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের তরফে এখানে ট্রেনিং নেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর, ২০১৭-১৯ বর্ষে কয়েক লক্ষ শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এখান থেকে। কিন্তু গত ৭ আগস্ট এনআইওএস হঠাৎ করে নির্দেশিকায় জানায়, ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁদের উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর নেই তাঁরা শংসাপত্র পাবেন না। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ওই সমস্ত শিক্ষকদের পুনরায় পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর আপগ্রেড করতে হবে৷ এর ফলে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক পাশ করা শিক্ষকদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছেন সেনা বাহিনীর জাওয়ানরাও৷

কেননা, তাঁদের পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সেনা বাহিনীতে কাজ করার সুবাদে সরকার তাঁদের যোগ্যতামান ৫০ শতাংশের সমতুল করার পরই তাঁরা শিক্ষকতার সুযোগ পেয়েছিলেন সেনা বাহিনীতে অবসরের পর৷ কলকাতা হাইকোর্ট আবেদনকারীদের এই মামলা গ্রহণ করেছে৷ আইনজীবী ফিরদৌস সামিম, আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করবেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − one =