নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক মহল বিশেষত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান হলেও নির্ধারিত দিনেই হবে আইআইটিতে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (জেইই) এবং মেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য – ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স এক্সাম (এনইইটি)। করোনা সংকটের কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষার্থীদের একটি আবেদন খারিজ হওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই শুক্রবার বিষয়টি স্পষ্ট কর দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব অনিত খারে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন যে শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে এবং পরীক্ষা কোনভাবেই পিছোনো যাবে না।
সরকারি সূত্র অনুসারে, ইতিমধ্যে জেইই (মেইন) পরীক্ষার অ্যাডমিট জারি করেছে ন্যশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) এবং এরইমধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ পরীক্ষার্থী (নিবন্ধিত প্রায় ৮. 8 লক্ষের মধ্যে) অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে ফেলেছে। জেইই (মেইন) পরীক্ষাটি ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ১৩ ই সেপ্টেম্বরের এনইইটি পরীক্ষার নির্ধারিত রয়েছে।
মহামারী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ কমাতে করতে জেইই (মেইন) প্রার্থীদের পাঁচবার নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তনের অনুমতি দিয়েছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ৯৯.০৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী তাঁদের পছন্দের কেন্দ্রের বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য অনুরোধগুলি সহানুভূতি সহকারে দেখানো হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।একইভাবে, এনইইটি (স্নাতক) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদেরও তাদের পছন্দের কেন্দ্র বেছে নেওয়ার বিকল্প দেওয়া হয়েছিল এবং প্রায় ৯৫,০০০ পরীক্ষার্থী এই সুবিধা গ্রহণ করেছে। এই পরীক্ষার জন্য মোট প্রায় ১৬ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৯.৮৭ শতাংশকেই পরীক্ষায় বসার জন্য তাদের পছন্দের শহরে পরীক্ষাকেন্দ্র দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল “শিক্ষার্থীদের কেরিয়ারকে ঝুঁকির মধ্যে রাখা যায় না। জীবন থামানো যায় না। সমস্ত সুরক্ষা গ্রহণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীরা কি পুরো বছর নষ্ট করার জন্য প্রস্তুত? শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা উচিত। কোভিড আরও এক বছর চলবে। তোমরা কি আরও এক বছর অপেক্ষা করতে চাইছ? “