কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে ক্লাসরুমের পড়াশোনা কবে থেকে শুরু হবে, তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত৷ এই পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের উপরেই জোড় দিতে চাইছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি৷ আগামী অক্টোবর থেকেই স্নাতকে অনলাইন ক্লাস শুরু করতে চলেছে কলকাতা এবং প্রসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়৷ তবে সেপ্টেম্বর থেকেই অনলাইনে স্নাতক স্তরের পঠনপাঠন শুরু করছে যাবপুর বিশ্ববিদ্যালয়৷
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা ইতিমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে ইমেল করা শুরু করে দিয়েছেন৷ হোম অ্যাসাইনমেন্ট এবং প্রজেক্ট ওয়ার্কের ভিত্তিতেই টার্মিনাল সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ তবে অধিকাংশ বিভাগে এখনও লাইভ-স্ট্রিমিং চালু হয়নি৷
আরও পড়ুন- নির্ধারিত সময়ে হবে JEE, NEET পরীক্ষা, নিশ্চিত করল শিক্ষা মন্ত্রক
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, ‘‘যেহেতু প্রত্যেক পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ক্লাস করার সুযোগ নেই, সেহেতু বেসরকারি স্কুলগুলির মতো আমরা অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করতে পারছি না৷ বদলে হোয়াটঅ্যাপ এবং ইমেলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে আমরা স্টাডি মেটিরিয়াল পাঠিয়ে দিচ্ছি৷ ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের সুবিধা মতন তা ডাউনলোড করে পড়া তৈরি করছে৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা কিছু মডিউল তৈরি করেছি৷ যখন ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি যোগাযোগের প্রয়োজন হচ্ছে, তখন তাঁরা আবেদন জানাচ্ছেন৷ সেই মতো শিক্ষকরাও গ্রুপ করে অনলাইনে তাঁদের ক্লাস নিচ্ছেন৷’’ হোয়াটঅ্যপ বা ইমেল করে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে ঠিকই৷ কিন্তু কোনও বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে, ছাত্রছাত্রীদের সেই সমস্যা কী ভাবে মেটানো হবে, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছেন কিছু শিক্ষক৷
আরও পড়ুন- D.El.Ed শংসাপত্র নিয়ে চরম বিভ্রান্তি! NIOS-র নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা
যাবদপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও পাঠ্য বিষয়বস্তু, অনুচ্ছেদের সফট কপি এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন অনলাইনে আপলোড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি’ চালু করা হচ্ছে৷ যেখানে ছাত্রছাত্রীরা গবেষণার প্রাথমিক ধাপ তৈরি করতে পারবে৷ ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের মধ্যে ৮০০ ফোন এবং ডাটা প্যাক বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়৷ তবে কোর্স ওয়ার্ক শেষ হওয়ার পর সেলফোন গুলি ফিরিয়ে দিতে হবে পড়ুয়াদের৷
অনলাইন টিচিং নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও৷ বহু পড়ুয়াই অডিও-ভিডিয়ো পদ্ধতিতে ক্লাস করতে স্বচ্ছন্দ্য নয়৷ আবার অনেক পড়ুয়া এমন জায়গায় থাকেন, যেখানে ইন্টারনেটের সুবিধাই নেই৷