জীবন না পরীক্ষা? জোড়া বিপদ রুখতে প্রধান বিচারপতিকে ২ ছাত্রের চিঠি

বর্তমানে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৭৭ হাজার। কিন্তু কেন্দ্র আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি পরীক্ষার আয়োজন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই বিষয়ে আইনি হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদেকে চিঠি লিখলেন দুই পড়ুয়া।

 

নয়াদিল্লি: বর্তমানে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৭৭ হাজার। কিন্তু কেন্দ্র আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি পরীক্ষার আয়োজন করতে উঠে পড়ে লেগেছে৷ এই বিষয়ে আইনি হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদেকে চিঠি লিখলেন দুই পড়ুয়া।

যদিও ওই দুই পড়ুয়ার কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ডাক্তারির পরীক্ষার্থী নন৷ তাঁদের একজন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও অপরজন আইন নিয়ে তৃতীয় বছরের পাঠ নিচ্ছেন৷ উক্ত চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও মহামারীর সময় পরীক্ষা নেওয়া সংবিধানের বিরোধী৷ কেননা সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে৷

তবে বর্তমানে দুই দিক থেকে বিপদে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা৷ পরীক্ষা দিতে গেলে যেমন করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে, পাশাপাশি পরীক্ষা না দিলে সুযোগ হাত ছাড়া হওয়ার ভয়ও রয়েছে৷ কিন্তু, জীবন আগে৷ চিঠিতে আবেদনকারীরা উল্লেখ করেছেন, ‘‘মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আদালত, সংসদ, বিধানসভা, বিধান পরিষদ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটে বর্তমানে তালা পড়েছে৷ এমনকি সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে৷’’ 

আবেদনকারীরা এর জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি তারা উল্লেখ করেছেন, দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ যখন শিখরে উঠছে, সেই সময়ে পরীক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছে কেন্দ্র সরকার৷ এই সমস্যার সমাধানে তাই প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইছেন আবেদনকারীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × one =