কীভাবে ফেরাতে হবে স্কুলছুট পড়ুয়াদের? প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ জেলা স্কুল পরিদর্শকের

দঃ ২৪ পরগনার মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের  তাদের নিজেদের স্কুলগুলির রেকর্ড থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়াদের বিস্তারিত তথ্য আগের প্রাইমারি স্কুল থেকে জেনে নিতে হবে।

কলকাতা:  নানান কারণে স্কুলছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করে শিক্ষার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে বহুদিন ধরেই নানান পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে আসছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সেই অনুসারে অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাইমারি থেকে শুরু করে সমস্ত হাইস্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের জন্য নয়া নির্দেশিকা পাঠাল জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর৷

প্রধানশিক্ষকদের বেশ কিছু নির্দেশ দিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা৷ জানানো হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুলগুলিরর প্রধান শিক্ষকদের নিজেদের স্কুলগুলি রেকর্ড থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়াদের আগের প্রাইমারি স্কুলের নাম খুঁজে বের করতে হবে৷

পড়ুয়াদের আগের স্কুলগুলিকে দুটি ভাগ করা হয়েছে, ১) 'বাংলারশিক্ষা' পোর্টালের আওতাধীন প্রাইমারি স্কুল। ২)'বাংলারশিক্ষা' পোর্টাল বহির্ভূত প্রাইমারি স্কুল৷ উল্লেখিত স্কুলগুলি থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ট্রান্সফার করা হয়েছে কিনা দেখতে বলা হয়েছে৷ যদি কারা না হয়ে থাকে, তবে ভর্তির রেকর্ড দেখে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীদের পোর্টাল ভিত্তিক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) পদ্ধতি ব্যবহার করে ট্রান্সফার করতে হবে। বর্তমান স্কুলে এইধরণের টিসি উপলব্ধ না থাকলে আগের প্রাইমারি স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ(অভিভাবক/ এসআইএস এর সাহায্য নিয়ে) করে তাদের পোর্টাল ভিত্তিক টিসি দেওয়ার আবেদন জানাতে হবে (হতে পারে সফ্ট কপি অথবা কমপক্ষে শিক্ষার্থীদের তখনকার পরিচয়পত্র)

নথি হাতে পাওয়ার পর দ্রুত তাদের ট্রান্সফার করতে হবে। এই ধরণের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কখনোই নতুন ডেটা ক্যাপচার ফরম্যাট (ডিসিএফ)  গ্রহনযোগ্য হবেনা। যদি ডুপ্লিকেট এন্ট্রি থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি মুছে ফেলতে হবে। উপরোক্ত স্কুলগুলি থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমান স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দ্রুত প্রয়োজনীয় ডিসিএফ এন্ট্রি করতে হবে। নতুন ভর্তির ক্ষেত্রে অন্য স্কুল থেকে আগত যেকোনও ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। ক্লাসে থাকাকালীন কোনও শিক্ষার্থী ট্রান্সফার নিতে চাইলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে তার উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। যেসমস্ত শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হয়নি, তাদের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সরকারি নির্দেশিকা মেনেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। স্পষ্টভাবে লিখে এসআইএস-কে প্রয়োজনীয় আবেদন জানানোর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

স্কুলছুট শিক্ষার্থী সংক্রান্ত উপরোক্ত সমস্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুযায়ী বাকি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করতে হবে। এই থাকা সার্কেল লেভেলে জমা করতে হবে। ড্রপ বক্স সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রতিদিন দুবার করে সার্কেল অফিসে জানাতে হবে। সমস্ত প্রধান শিক্ষকদের দ্রুত এসএমএস পোর্টালে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সমস্ত বৈধ শিক্ষার্থীর পাস-ফেল এর বিষয়গুলি অআবশ্যিকভাবে দ্রুত শেষ করতে হবে। আম্ফানের জেরে নষ্ট হয়ে যাওয়া বই, খাতা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পুনরায় যে সমস্ত স্কুলে পাঠানো হয়েছে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব তার বিস্তারিত ই-পোর্টালে এন্ট্রি করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 2 =