নিউইয়র্ক: সম্প্রতি ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স এডুকেশন ফান্ড বা ইউনিসেফের একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ শিশু অনলাইন ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে না। করোনার জেরে বর্তমানে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় পড়াশোনার করার একমাত্র ক্ষেত্র এখন অনলাইন মাধ্যম। কিন্তু ইউনিসেফের এই রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের একাধিক দেশেই দেখা গিয়েছে শিশুরা 'রিমোট লার্নিং'য়ের সুবিধা পাচ্ছে না।
চলতি বছর মার্চ মাসে ইউনিসেফ একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেছিল, করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের শারীরিক কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। তাই বিশ্বের সমস্ত স্কুল কলেজের গেটে তালা পড়েছিল তখন থেকেই। সমস্ত দেশে লকডাউন জারি হয়েছে। কিন্তু পড়াশোনা থেমে থাকতে পারে না, সেক্ষেত্রে বেতার, দূরভাষ কিংবা অনলাইন প্রযুক্তিতে 'রিমোর্ট লার্নিং’য়ের মাধ্যমেই পাঠদানের কথা বলা হয়েছিল ইউনিসেফের তরফে। মূলত, শিক্ষক ও পড়ুয়া উভয়ে শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থেকেও প্রযুক্তির মাধ্যমে পড়াশোনা করাকে 'রিমোর্ট লার্নিং' বলা হয়। কিন্তু তাতে ফাঁক থেকে গিয়েছে প্রতিটি দেশেই। উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব কিংবা পারিবারিক দারিদ্রতার কারণেই শিশুরা অনলাইন পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ইউনিসেফের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি শিশু বর্তমানে স্কুলে যেতে পারছে না। 'রিমোর্ট লার্নিং' না হওয়ায় শিক্ষা ক্ষেত্রে 'জরুরি অবস্থা' তৈরি হয়েছে বলে মত ইউনিসেফের। ইউনিসেফের তরফে সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোরে জানিয়েছেন, প্রায় ৪৬ কোটি ৩০ লক্ষ শিশু 'রিমোর্ট লার্নিং' এর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। করোনার ফলে বন্ধ হওয়া শ্রেণিকক্ষের পড়াশোনা এই 'রিমোর্ট লার্নিং' ব্যবস্থায় কোনও ভাবেই করা সম্ভব হয়নি।