কলকাতা: করোনার আবহে স্কুল বন্ধ সেই মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে। তার আগে বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষা চলতে থাকায় পড়ুয়ারা প্রায় চারমাসের ওপর স্কুলের মুখ দেখেনি। এর মধ্যেই অনলাইনে ক্লাস চালাচ্ছে স্কুলগুলি। পরীক্ষাও নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে কীভাবে এই ব্যাপক কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে নির্বাহ করা যাবে তা নিয়ে রীতিমত ধন্দে সব স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নিজেদের সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। অনেকের কাছে পড়াশোনার সন্তানের সুস্থতাই প্রাধান্য পেলেও, বেশ কিছু মানুষ ছেলেমেয়ের কেরিয়ারের ভাবনাও করছেন।
এদিকে নিজেদের পড়াশোনা নিয়ে সমস্যায় রয়েছে পড়ুয়ারাও। উঁচু শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে ক্লাস করলেও প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস বা ক্লাসের ভিতরে শ্ক্ষক পড়ুয়া সরাসরি পড়ার বিষয়টিও চাইছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তথা শিক্ষামন্ত্রকের তরফে বিধি মেনে স্কুল খোলা নিয়ে অভিভাবকদের মতামত জানতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারগুলির কাছে। এর ভিতরেই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকার রাজ্য সরকারি নির্দেশে খুশির হাওয়া স্কুলগুলিতে। খুব সাম্প্রতিকে আসা কেন্দ্রীয় সরকারের আনলক গাইডলাইন নিয়ে ইতিমধ্যেই ভার্চুয়াল বৈঠক করে ফেলেছে বেশ কিছু স্কুল।
বেশিরভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করছে দেশে সংক্রমণ শীর্ষে থাকায় তড়িঘড়ি স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত মোটের বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবে এ বিষয়ে সবাই একমত যে প্রথমে শিক্ষকের ডাকাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে গোটা সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ট্রাস্টিদের মধ্যে বৈঠক চলুক। একইসঙ্গে কীভাবে স্কুল পরিচালনা করা হবে সেবিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। স্কুলগুলির অধিকাংশই এই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছে।
বিড়লা হাইস্কুলের মত কিছু স্কুল ১৩ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা এনইইটির সেন্টার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। স্কুলের অধ্যক্ষ লভলীন সেহগল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি, তবে করোনা আবহে ক্যাম্পাসের ভিতর পড়ুয়াদের সামলানো একটা বড়সড় কাজ। তবে সব মিলিয়ে আপাতত রাজ্য সরকারের স্কুল খোলার দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে স্কুলগুলি।