শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভার্চুয়ালি ৬১ জন পেলেন ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান

প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও আন্তর্জাতিক শিক্ষা দফতর অধিবেশন অনুষ্ঠিত হল শিক্ষক দিবসের দিন। তবে এবারে 'নিউ নির্মাল' পরিস্থিতিতে একটু অন্য ঢঙেই আয়োজন করা হল এই অনুষ্ঠান। প্রথমে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করার কথা হলেও, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই অনলাইনে ভার্চুয়ালি করা হয় এই অনুষ্ঠান। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মোট ৬১ জন শিক্ষককে শনিবার 'শিক্ষারত্ন' সম্মান প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানে।

কলকাতা: প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও আন্তর্জাতিক শিক্ষা দফতর অধিবেশন অনুষ্ঠিত হল শিক্ষক দিবসের দিন। তবে এবারে 'নিউ নির্মাল' পরিস্থিতিতে একটু অন্য ঢঙেই আয়োজন করা হল এই অনুষ্ঠান। প্রথমে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করার কথা হলেও, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই অনলাইনে ভার্চুয়ালি করা হয় এই অনুষ্ঠান। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মোট ৬১ জন শিক্ষককে শনিবার 'শিক্ষারত্ন' সম্মান প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়

এই ৬১ জন শিক্ষকের মধ্যে কলকাতা থেকে ৩ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে ৪ জন শিক্ষক শিক্ষারত্ন সম্মান পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ বাবু বলেন, যাঁরা এই সম্মান পেলেন, ভবিষ্যতে তাঁরা অন্যদের আরও বেশি উৎসাহ প্রদান করবেন। পাশাপাশি তিনি, প্রত্যন্ত জেলার শিক্ষকদের আরও বেশি করে এই সম্মান জানানোর কথাও বলেন। তাঁর কথায়, দূরের প্রত্যন্ত জেলা গুলিকে উৎসাহ দিতে পারলে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা ফিরে আসবে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানে নজির গড়তে পারবে।

অন্যদিকে এবছর শিক্ষারত্ন প্রাপক এক শিক্ষিকা ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারের সম্মান পাওয়ায় শিক্ষক মহলে উঠেছে প্রশ্ন। তাদের বক্তব্য, ওই শিক্ষিকা যেহেতু রাষ্ট্রপতি সম্মান পেয়েছেন তাই শিক্ষারত্ন ওঁকে না দিয়ে অন্য কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে দেওয়া যেত। পাশাপাশি তাদের দাবি, এবছর শিক্ষারত্ন পেয়েছেন তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তথা হাওড়া জেলা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। ফলে শিক্ষক মহলে রাজনীতি তৈরি হয়েছে বলেই দাবি একাংশের।

পাশাপাশি এদিন রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে তৃণমূলের কার্যাবলীর ব্যাখ্যা দেন শিক্ষা মন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে রাজ্যে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২ টি। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যে মোট বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ১২ টি। বর্তমানে আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার কথা ভেবেছে রাজ্য সরকার। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার সময় রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে গ্রস এনরোলমেন্ট ছিল ১২.৪ লক্ষ। এখন সেই সংখ্যা ২১ লক্ষে পৌঁছেছে। গত সাত বছরে মোট ৬৫০০ জন অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর এবং মোট ৩০০ জন অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + thirteen =