জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা ট্রাম্পের

ওয়াশিংটন: টেলিকমে হুমকির কথা বলে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। মুখে বলা না হলেও লক্ষ্য আসলে চীনের দাপুটে টেলিকম সংস্থা হুয়াউই। আমেরিকার কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলিকে ‘বিদেশী প্রতিপক্ষ সংস্থাগুলির’ হাত থেকে সুরক্ষা দিতেই বুধবার ট্রাম্পের এই নির্দেশ বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বুধবার তিনি একটি প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন, যার ফলে

c0c55998835880599b3ad6a434a6633a

জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা ট্রাম্পের

ওয়াশিংটন: টেলিকমে হুমকির কথা বলে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। মুখে বলা না হলেও লক্ষ্য আসলে চীনের দাপুটে টেলিকম সংস্থা হুয়াউই। আমেরিকার কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলিকে ‘বিদেশী প্রতিপক্ষ সংস্থাগুলির’ হাত থেকে সুরক্ষা দিতেই বুধবার ট্রাম্পের এই নির্দেশ বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বুধবার তিনি একটি প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন, যার ফলে দেশের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা বিদেশি টেলিকম পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করতে মার্কিন সংস্থাগুলি বাধ্য হবে। কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার নাম বলা না হলেও চীনের হুয়াউই সংস্থাকে লক্ষ্য করেই এই নির্দেশ বলে ধারণা করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউসের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী ট্রাম্পের নির্দেশের লক্ষ্য, ‘বিদেশি প্রতিপক্ষ, যার সক্রিয় ও ক্রমবর্ধমানভাবে তথ্য-প্রযুক্তি পরিকাঠামো ও পরিষেবার ক্ষেত্রে দুর্বলতা তৈরি করছে ও তার সুযোগ নিচ্ছে, তাদের থেকে আমেরিকাকে সুরক্ষা দেওয়া।’ সঙ্গে সঙ্গেই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের চেয়ারম্যান অজিত পাই।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘আমেরিকার নেটওয়ার্কগুলি নিরাপদ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ ট্রাম্পের ঘোষণার পাশাপাশি মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রক হুয়াউই টেকনোলজিস ও তার ৭০টি সহযোগী সংস্থাকে তাদের ‘এনটিটি লিস্টে’ যুক্ত করেছে। লক্ষ্য হুয়াউইয়ের সমস্ত সামগ্রীর উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছে হুয়াউই। সংস্থার বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ কিংবা শক্তিশালী হয়ে যাবে না। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, কেন ওয়াশিংটন হুয়াউইকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

হুয়াউই বলেছে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে আমেরিকারই ক্ষতি হবে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কেবল নিম্নমানের ও ব্যয়বহুল বিকল্প পণ্য ব্যবহারে বাধ্য হবে। পিছিয়ে পড়বে অন্য দেশের তুলনায়। শেষ পর্যন্ত মার্কিন সংস্থা ও মার্কিন নাগরিকদেরই ক্ষতি হবে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই দুই দেশ ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *