কলেজ পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘিরে নয়া জটিলতা, সাড়া দেয়নি UGC

কলেজ পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘিরে নয়া জটিলতা, সাড়া দেয়নি UGC

কলকাতা: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘিরে ফের বিভ্রান্তি৷ ইউজিসির অনুমোদন না আসা পর্যন্ত কোনও ভাবেই চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা সূচি ঘোষণা করা সম্ভব নয়৷ ভার্চুয়াল বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ যদিও এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তরফ জানানো হয়েছিল, আগামী ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ১৫১টি কলেজ চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে৷ কিন্তু সেই পরীক্ষা শুরুর আগেই নির্ঘণ্ট ঘিরে শুরু বিভ্রান্তি৷

আজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমস্ত কলেজের অধ্যক্ষ দের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন৷ প্রায় দেড়শটি কলেজের অধ্যক্ষ সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ ওই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তরফে জানানো হয়েছে, ইউজিসির তরফ থেকে পরীক্ষা সংক্রান্ত অনুমোদন পেলে পরবর্তী পরীক্ষা নির্ঘণ্ট জানিয়ে দেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যে সরকারি তরফে অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে বলে জানানো হয়৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েও কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ সেপ্টেম্বর ইউজিসিকে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আবেদন জানানো হয়৷ কিন্তু, রাজ্যের চিঠির পরিপ্রক্ষিতে ইউজিসির তরফে এখনও পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও সাড়া মেলেনি৷ ইউজিসির তরফে কোনও অনুমোদন না আসায় পরীক্ষা সূচি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি৷ বাড়ি থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কবে পরীক্ষা হবে? সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে৷

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আগেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে ছিল, বাড়ি থেকে  পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ আজ স্টেট ইউনিভার্সিটির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাড়ি থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একই পথে হেঁটেছে পরীক্ষা সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে, কবে পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে৷ ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষা হবে কি না সেই বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়৷ কারণ যেহেতু, ইউজিসি এখনও পর্যন্ত সাড়া দেয়নি, ফলে, নির্ঘণ্ট প্রকাশের এখনই করা যাচ্ছে না৷ নয়া এই জটিলতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলার কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী৷ ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষা হবে বলে, যারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন, সেই সমস্ত পড়ুয়ারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 4 =