আজ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, চূড়ান্ত হবে ভোটের নির্ঘণ্ট?

কলকাতা: আজ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷ নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ কথা বলবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ সাধারণভাবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে থাকে তিনজন সদস্য৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের দুই সিনিয়র সদস্য৷ তবে, এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে আছেন দুজন

63c828c55c2491832b763640a1facf3c

আজ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, চূড়ান্ত হবে ভোটের নির্ঘণ্ট?

কলকাতা: আজ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷ নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ কথা বলবেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ সাধারণভাবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে থাকে তিনজন সদস্য৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের দুই সিনিয়র সদস্য৷ তবে, এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে আছেন দুজন সদস্য৷ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা ও অশোক লাভাসা৷

জানা গিয়েছে, তাঁরা ৩০ জানুয়ারি রাতেই পৌঁছে যাবেন কলকাতায়৷ থাকবেন এসপ্ল্যানেড চত্বরের একটি পাঁচতারা হোটেলে৷ ৩১ জানুয়ারি তাঁরা প্রথমে সবকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন৷ তারপর সবকটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে দেখা করবেন৷ সবকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলবেন৷ দেবেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ৷

বোঝার চেষ্টা করবেন নির্বাচনের জন্য সবকটি জেলা কতটা তৈরি৷ পরের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ও ডিজির সঙ্গে কথা বলবে ফুলবেঞ্চ৷ লোকসভা ভোট নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দফতরেও৷ সবকটি জেলা নির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত তা জানতে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি চলছে ট্রেনিং৷

পরে দুপুর থেকে রাজ্যের সবকটি পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক । কেননা, ফুল বেঞ্চের কাছে পেশ করতে হবে নির্বাচনের প্রস্তুতির রিপোর্ট । পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা দিতে হবে ফুল বেঞ্চের কাছে । আর তাই শেষ কয়েকদিন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতরের কর্তারা প্রায় রাত জেগে প্রস্তুত করছেন রিপোর্ট । সেই রিপোর্ট তৈরি প্রায় শেষ । নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশ নবান্নে পৌঁছেছে, সেই নির্দেশ পৌঁছে গেছে সবকটি জেলার সদরে । সাধারণভাবে বদলির নির্দেশ প্রতি নির্বাচনের আগেই দেয় নির্বাচন কমিশন৷

ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের অফিসারদের বদলি নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে৷ বলা হয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বদলি সম্পূর্ণ করতে হবে৷ সেইমত সোম ও মঙ্গলবার কয়েকটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ অফিসারদের বদলি করা হয়েছে৷

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ যদি একই জায়গায় চারবছর কিংবা ৩১ মে ২০১৯-এর মধ্যে তিন বছর কর্তব্যরত থাকেন তাঁকেও বদলি করতে হবে৷ ৩১ মে ২০১৭ সালের মধ্যে যে সমস্ত নির্বাচন এবং উপ-নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে যারা ডেপুটি ইলেকশন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তাঁদেরও করতে হবে বদলি৷ একই কাজ করতে হবে পুলিশ ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরদের ক্ষেত্রেও৷

১ মার্চ শুক্রবার৷ শুধু ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে বাধা নেই৷ ৪ মার্চ সোমবার৷ সেদিন আবার শিবরাত্রি৷ আর তাই ১ মার্চ ঘোষণা না হলে, নির্ঘণ্ট ‌ঘোষণা হবে ৫ মার্চ৷ যদিও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি৷ তবে নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে, মার্চ পয়লাতেই ঘোষণা হবে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *