কলকাতা: প্রকাশিত হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা JEE মেইন পরীক্ষার ফলাফল। আর তাতে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ঢাকুড়িয়া নিবাসি শ্রীমন্তী দে। জানুয়ারি মাসে সংগঠিত রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রথম পর্বের পরীক্ষায়ও প্রথম হয়েছিল্লু শ্রীমন্তী। এবার ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় পর্বের জয়েন্ট পরীক্ষাও প্রথম হলেন দিল্লি পাবলিক স্কুল রুবি পার্কের পড়ুয়া শ্রীমন্তী।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এই দ্বিতীয় পর্বের জয়েন্ট পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছিল। গতকাল, অর্থাৎ ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এত দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করে নজির গড়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ২৪ জন পরীক্ষার্থী ১০০ পারসেন্টাইল নম্বর পেয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮ জন তেলেঙ্গানার, ৫ জন দিল্লির, ৪ জন রাজস্থানের ও ৩ জন অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা। ১০০ পার্সেন্টাইল নম্বর পাওয়া ২৪ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেবলমাত্র একজন ছাত্রী বাকি ২৩ জনই ছাত্র। সেই ছাত্রীর নাম চুক্কা তনুজা, তেলেঙ্গানার বাসিন্দা। এরপরেই ছাত্রীদের মধ্যে ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল নম্বর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম হয়েছে বাংলার কন্যা শ্রীমন্তী দে।
শ্রীমন্তী সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। বরাবরই মেধাবী শ্রীমন্তী কোনও দিন স্কুলে দ্বিতীয় হননি। এরপর উচ্চমাধ্যমিকের জন্যে ভর্তি হন রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলে। সেখান থেকেই জয়েন্টে বসেন শ্রীমন্তী। দিনে ৫ ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা তিনি কখনওই করত না বলেই জানিয়েছেন শ্রীমন্তী। তাঁর কথায়, কোচিং এর সমস্ত নোটস খুব মনোযোগ সহকারে পড়তেন। শিক্ষক ও অভিভাবকদের সর্বদা পাশে পেয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর পরিবারের সবাই গর্বিত মেয়ের এই সাফল্যে। শ্রীমন্তীর মা সুস্মিতা দেবী জানিয়েছেন, মেয়ে সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। শ্রীমন্তীকে তাঁদের সবসময়েই গর্ব হয়। এই সাফল্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও খুশির আবহ শ্রীমন্তীর বাড়িতে।