কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ রবিবার সংগঠিত হয়েছে নিট পরীক্ষা। এই নিট পরীক্ষার কেন্দ্র প্রতি বছরের মতো এবারেও বেশিরভাগ কেন্দ্র পড়েছিল কলকাতাতেই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এই পরীক্ষা সংগঠিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছিল একাধিক পড়ুয়া। অন্যদিকে আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরীক্ষার আগের দুদিন লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ তারিখ অর্থাৎ পরীক্ষার আগের দিনের লকডাউন বাতিল করেছিলেন। কিন্তু তাও কলকাতায় পৌঁছাতে ১০ মিনিট দেরী হয়ে যাওয়ায় বিহারের এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারল না।
টানা লকডাউন কাটিয়ে রাজ্যে অবশেষে শুরু হয়েছে মেট্রো রেল পরিষেবা। আগে পরীক্ষার আগের দুদিন লকডাউন থাকায় মেট্রো তরফে পরীক্ষার আগের দিন পরীক্ষার্থীদের জন্য পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল অ্যাডমিট কার্ড দেখে পরীক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের মেট্রোয় ওঠানো হবে। কিন্তু অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষার আগে ১১ ও ১২ তারিখ দুদিন লকডাউনের পরিবর্তে শুধুমাত্র ১১ তারিখ লকডাউন ঘোষণা করেন। পরীক্ষার্থীরা যাতে সঠিক সময়ে কলকাতায় চলে আসতে পারে পরীক্ষার জন্যে ১২ তারিখ লকডাউন বাতিল করেন তিনি।
কিন্তু দীর্ঘ ৭০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিহার থেকে কলকাতায় পৌঁছাতে ১০ মিনিট দেরি হয়ে যায় সন্তোষকুমার যাদব নামে এক পড়ুয়ার। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিহারের দ্বারভাঙা থেকে কলকাতা পৌঁছেছিলেন নিট পরীক্ষার জন্যে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চরম হতাশার মধ্যে পড়েছে ওই পড়ুয়া। সন্তোষকুমার জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮ টা নাগাদ দ্বারভাঙা থেকে বাসে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পথে যানজটের জন্যে কলকাতায় ঢুকতে বেলা ১টা বেজে যায়। বিধাননগর এর কাছে ছিল পরীক্ষা কেন্দ্র। ধর্মতলা থেকে ট্যাক্সই ধরে পড়িমরি করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছান তিনি। কিন্তু তখন ঘড়িতে বাজে ১ টা ৪০ মিনিট।
সাতশো কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিহার থেকে কলকাতায় পৌঁছতে ১০ মিনিট দেরি হওয়ায় NEET-তে বসতে পারল না এক ছাত্র। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরে। সন্তোষ কুমার যাদব নামে ওই ছাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিহারের দ্বারভাঙা থেকে কলকাতা পৌঁছেছিলেন। পরীক্ষা দিতে না পারায় হতাশ তিনি। এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজিরা নথিভুক্তির শেষ সময় ছিল বেলা ১ টা ৩০ মিনিট। ১০ মিনিট দেরির হওয়ার জন্যে তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটেই আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষী। এরপর দেরির কারণ জানালে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন নিরপত্তারক্ষীরা। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও সন্তোষকুমার'কে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। অথচ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর ২টো থেকে।