মমতাকে নয়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব

মথুরাপুর: এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও সভায় যোগ দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে বিপ্লব দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ দাস ও সুনিপ দাস সহ রাজ্য

মমতাকে নয়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব

মথুরাপুর: এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও সভায় যোগ দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে বিপ্লব দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ দাস ও সুনিপ দাস সহ রাজ্য ও জেলা বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব।

এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই কার্যত এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। গত দশ মাস ধরে বামেদের হটিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। এই দশ মাসে একটিও রাজনৈতিক খুন ত্রিপুরায় হয়নি। কিন্তু গত সাত বছরের বেশী সময় ধরে তৃণমূল সরকার এ রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে সেখানে একের পর এক রাজনৈতিক খুন হয়ে চলেছে বলে বিপ্লব দেব দাবী করেন। তিনি আরও বলেন, “ গত দশ মাসে ত্রিপুরায় একটি ও রাজনৈতিক খুন দেখাতে পারলে আমি মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেব। কিন্তু দিদি আপনি কি আমার মত একথা বলতে পারবেন? আপনাকে আমার চ্যালেঞ্জ রইল”। এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বিপ্লব দেব সকলেই প্রথম থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন।

ব্রিগেডের সভা থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা নিয়ে কটাক্ষ করেন দিলিপ ঘোষ, বিপ্লব দেবরা। দিলীপ ঘোষ বলেন, “তমলুকে অমিত শাহের সভা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে তাই আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করেছে। অধিকারী পরিবার বুঝতে পেরেছে এবার বিজেপি এসে গেছে, তাই নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে এইভাবে হিংসার রাজনীতি বেছে নিয়েছে”। অন্যদিকে মঙ্গলবার তমলুকে বিজেপির সভার পর কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, “ওখানে অধিকারীরা মমতার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে। বাস, গাড়িতে হামলা ভাঙচুর তো করেছেই এক বয়স্ক মানুষ সাইকেল চালিয়ে আসছিল তাকেও ছাড়ে নি তৃণমূলের গুন্ডারা”।

২০১৯ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কিছু বাতিল নেতাকে নিয়ে এসে ব্রিগেডে সভা করেছে, কিন্তু বিজেপির কাছে ষোল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে। আর ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীই আবার দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেবেন বলে দাবী করেন বিপ্লব দেব। অন্যদিকে এ রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে পিসি-ভাইপোর সিন্ডিকেটের সরকার বলেও কটাক্ষ করেন বিপ্লববাবু। সভার শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল সরকারকে একের পর এক প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। বামেদের হারিয়ে এরাজ্যে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি বলেও অভিযোগ তোলেন বিপ্লববাবু। আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের অন্যান্য লোকসভা কেন্দ্রের সাথে এই মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রকে ও পাখির চোখ হিসেবে দেখছে বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনের সভা থেকে বিজেপির সমস্ত নেতৃত্ব কার্যত মথুরাপুরের মানুষকে সেই বার্তাই দেন। এদিনের সভায় বিজেপি কর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মাত্র দুদিন আগে এই সভা ঠিক হলেও এদিনের সভায় প্রায় দশ হাজারের বেশী মানুষের জমায়েত হয়েছিল বলে দাবী বিজেপি নেতৃত্বের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 13 =