কলকাতা: কাঁথিতে বিজেপির সভায় বাস পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল বের হয় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে । মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুকুল রায়, মহিলা মোর্চা দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ নেতা নেত্রীরা । রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে এই প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছিল প্রায় পাঁচশ সমর্থক ।
এদিন মুকুল রায় বলেন, “অমিত শাহের সভায় হাজারে হাজারে মানুষ এসেছিল । সভার শেষে যেভাবে আমাদের দলীয় সমর্থকদের বাস ভাঙচুর করা হল তাতে দেশে গণতন্ত্র নেই বোঝাই যাচ্ছে । প্রায় ৫০ জন মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি । কয়েকজনের অবস্থা সংকটজনক। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমরা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে মানুষ দেখুক কিভাবে গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে ।”
মুকুলবাবু আরও বলেন,” মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গেছেন তিনি এই ধর্মতলার মোড়ে ২৬দিন বেআইনিভাবে বসে ছিলেন । তিনি ১৬ দিন এন.এইচ ধরে বেআইনি ভাবে বসেছিলেন । এখন ক্ষমতায় এসে ভোল পাল্টে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শাসক হয়েছেন বলে বিরোধীদের কোনও কথাই তিনি শুনতে চাইছেন না । এটা আমাদের প্রতীকী প্রতিবাদ সভা । এরপর আমরা গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা করব।”। এদিন প্রতিবাদ মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত আসতেই পুলিশ সেই মিছিল থামিয়ে দেয় । প্রায় ২৫ জন বিজেপি সমর্থককে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গতকাল কাঁথিতে অমিত শাহের জনসভা শেষ হওয়ায় পরই ভাঙচুর চালানো হয় বিজেপি সমর্থকদের বাসে ।
এছাড়াও সভা চলাকালীন সভায় আসা প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি বাস ও ট্রেকারেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন দলীয় সমর্থকরা । আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । এর জেরেই আজ এই প্রতিবাদ মিছিল বের হয় । পালটা তৃণমূল কার্যালয় ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে । দুপক্ষের সংঘর্ষে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কাঁথি । দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মোট ৫০জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতৃত্বরা । গুরুতর আহত হয়েছেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাও । এই ঘটনার প্রতিবাদেই বুধবার কলকাতা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিজেপি ৷ আর সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি দেখে তাঁর গাড়ির উপর হামলা করে দলীয় সমর্থকরা । যদিও এই বিষয়ে মুকুল রায় বলেছেন কোনও রকম আক্রমণ করা হয়নি ।