ফ্রিতে মিলছে জ্বালানি, নদীর পাড়ে জমজমাট পিকনিক

আসানসোল: দামোদর নদীর পাড় বরাবর মাটি ফেটে বেরোচ্ছে কোল বেড মিথেন। অবাধেই পর্যটকরা সেটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে নদীর ধারেই চলছে দেদার পিকনিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, অথচ হেলদোর নেই প্রশাসনের। সারা দেশ জুড়ে সমীক্ষা চলছে কোল বেড মিথেন বা সিবিএম নিয়ে। যা কাজে লাগিয়ে রান্নার জ্বালানির নতুন পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব। সেই জ্বালানির সন্ধন মিলল আসানসোলে।

ফ্রিতে মিলছে জ্বালানি, নদীর পাড়ে জমজমাট পিকনিক

আসানসোল:  দামোদর নদীর পাড় বরাবর মাটি ফেটে বেরোচ্ছে কোল বেড মিথেন। অবাধেই পর্যটকরা সেটিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে নদীর ধারেই চলছে দেদার পিকনিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, অথচ হেলদোর নেই প্রশাসনের। সারা দেশ জুড়ে সমীক্ষা চলছে কোল বেড মিথেন বা সিবিএম নিয়ে। যা কাজে লাগিয়ে রান্নার জ্বালানির নতুন পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব। সেই জ্বালানির সন্ধন মিলল আসানসোলে। তা দিয়েই নদীর ধারে অবাধে চলছে বনভোজন। আসছেন পর্যটকরা। জমিয়ে চলছে রান্না, খাওয়া দাওয়া।

কী এই কোল বেড মিথেন? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কয়লাখনিতে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর গ্যাস জমা হয়। এগুলি সাধারণত মিথেন গ্যাস কূপ খনন করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় খনি থেকে ওই গ্যাস তোলার পদ্ধতি হচ্ছে ‘কোল বেড মিথেন’ সংক্ষেপে সিবিএম। রানিগঞ্জ, ঝরিয়া এবং সোহাগপুর অঞ্চলে ব্লক বিতরণের মাধ্য‌মে সিবিএমের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই এলাকায় কোল বেডের সন্ধান মিললেও সেটিকে প্রশানসনের তরফে কাজে লাগানোর কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি, অভিযোগ স্থানীয়দের। পাইপ লাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস আনার প্রকল্পকে ভোটের চমক হিসেবে দাবি করেছেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি দিন দিন বাড়ছে জ্বালানির জ্বালা। কোল বেডকে কাজে লাগিয়ে সাধ্যের মধ্যে নতুন পরিকাঠামো এলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে শিল্পাঞ্চল বাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × one =