মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত খোলা হোক স্কুল, দাবি শিক্ষকদের

মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত খোলা হোক স্কুল, দাবি শিক্ষকদের

 

কলকাতা: প্রায় ৭ মাস অতিক্রান্ত৷ করোনা রুখতে জারি হয়েছিল লকডাউন৷ লোকাল ট্রেন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা আনলক পর্বে চালু হয়ে গিয়েছে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭ মাস বন্ধ থাকায় কার্যত লাটে উঠেছে শিক্ষা ব্যবস্থা৷ চরম সমস্যায় পড়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা৷ এবার বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থা অবিলম্বে স্কুল খোলার দাবি তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন৷ ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ৷ সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি৷ সব মিলিয়ে পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে মানসিকভাবে চাপে পড়ুয়াদের একাংশ৷ আগামী বছর কবে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে, তা এখন জানিতে পারেনি শিক্ষা দফতর৷ তার উপর রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন৷ সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি৷ করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে  এখনও পর্যন্ত সিলেবাস শেষ করা তো দূর, ক্লাস পর্যন্ত শুরু হয়নি৷ টেস্ট পরীক্ষাও অনিশ্চিত৷ পড়ুয়ারা বাড়িতে বসে পড়াশোনা করলেও থেকে যাচ্ছে খামতি৷ ফলে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবিলম্বে স্কুল খোলা ও সিলেবাস কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

আগামী বছর মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে চলেছে৷ কিন্তু, না হয়েছে সিলেবাস শেষ৷ না হয়েছে ক্লাস৷  সে মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় পঠন-পাঠন৷ মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি এখন গৃহশিক্ষক নির্ভর হয়ে গিয়েছে৷ ফলে, সিলেবাস কমিয়ে দ্রুত পঠন-পাঠন চালুরও দাবি তুলতে শুরু করেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷

দ্রুত পঠন-পাঠন চালু করার বিষয়ে দাবি জানিয়েছে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ৷ শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘পরিবহণ ব্যবস্থা বিশেষ করে ট্রেন, বাস চলাচল স্বাভাবিক করে বিধিসম্মত ভাবে বিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠনের জন্য খুলে দেওয়া হোক৷ বাস্তব পরিস্থিতিতে সারা বছরজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন ব্যাহত হয়েছে৷ বিশেষ করে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত৷ সামনেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷ প্রাথমিকভাবে অন্তত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বিধিসম্মতভাবে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করার  আবেদন জানাচ্ছি৷ রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তরের কাছে, অনুরোধ পড়ুয়াদের স্বার্থ চালু হোক পঠনপাঠন৷’’

অন্যদিকে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর থেকেই খুলে যেতে পারে বাংলার সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়৷ কবে থেকে স্কুলে ক্লাস নেওয়া হবে, কীভাবে তা নেওয়া যেতে পারে, আলোচনা শুরু করেছে সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শুরু হবে৷ কিন্তু স্কুলে কবে থেকে ক্লাস শুরু হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ যদিও এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা হয়েছে৷ কবে, কীভাবে স্কুল খোলা যায়, তা নিয়ে কালী পুজোর পর এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

স্কুল বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ুয়ারা৷ সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক৷ আগামী বছরে যে পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের এখনও পর্যন্ত ক্লাস শুরু করা যায়নি৷ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা মাত্র আড়াই মাস ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছে৷ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা নভেম্বরে হওয়ার কথা ছিল৷ তা একপ্রকার অনিশ্চিত৷ এই প্রেক্ষাপটে স্কুল কবে থেকে খোলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা শুরু করছে সরকার৷ আজ থেকে আলোচনা শুরু করেছে সরকার৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কালী পুজোর পর মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে৷ তবে কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষেত্রে ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে সরকারের সিদ্ধান্ত কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + twelve =