ওয়াশিংটন: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ অনেছিলেন লেখিকা ই জিন ক্যারল৷ সেই মামলায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করল মার্কিন আদালত। পাশাপাশি ক্যারলের সম্মানহানীর অপরাধেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। যৌন নির্যাতন এবং লেখিকার মানহানির অপরাধে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হল ট্রাম্পকে। ভারতীয় মুদ্রায় টাকার অঙ্ক প্রায় ৪১ কোটি টাকা৷ যদিও আদালতের রায় ঘোষণার পরেও নিজেকে নিরপরাধ বলেই দাবি করেছেন ট্রাম্প৷ তাঁর কথায়, এই রায় ‘অপমানজনক’৷
২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ে প্রথমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ আনেন ৭৯ বছরের লেখিকা ই জিন ক্যারল৷ তিনি দাবি করেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝি ম্যানহাটনের একটি শপিং ট্রাম্পের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে৷ তিনি জানান, ওই শপিং মলের ট্রায়াল রুমে তাঁকে ধর্ষণ করেন ট্রাম্প। ক্যারলের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল বাধা দেওয়ার প্রবল চেষ্টা করলেও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের শারীরিক শক্তির কাছে হার মানেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পের দাবি, “এমন কিছুই ঘটেনি। সবটাই মিথ্যে৷” লেখিকার আইনজীবীর যে তথ্য প্রমাণ দাখিল করেছিলেন তাতে ট্রাম্পের বন্তব্য ছিল, “এগুলি সব বানানো”। কিন্তু, আদাবতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে লেখিকা জানান, ট্রায়াল রুমে তাঁর সঙ্গে জবরদস্তি করেন ট্রাম্প। তাঁকে দেওয়ালে চেপে ধরেন। প্রথমে যোনিতে আঙুল ঢোকান। তারপর পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করান। সেই মামলায় ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যৌন নির্যাতন এবং মানহানির দায়ে জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। রায় ঘোষণার পর ট্রাম্প বলেন, “এই মহিলা কে সত্যিই আমি জানি না। এটা অপমানজনক রায়। মিথ্যের শিকার হচ্ছি আমি।”
ক্যারলের দায়ের করা মামলাটি ফৌজদারি আদালতে ছিল না। এটি ছিল সিভিল কেস৷ তাই কয়েক দশক পুরোনো সেই ঘটনায় জেলে যেতে হচ্ছে না প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। ৫০ লক্ষ ডলার জরিমানা দিতে হবে তাঁকে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪১ কোটি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এই জরিমানা ক্যারলের মানহানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>