দেশের বাইরে ক্যাম্পাস খুলতে পারবে দেশীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, অনুমোদন UGC-র

নয়াদিল্লি: দেশের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দিল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ামক সংস্থা ইউজিসি বা UGC। আইআইটি সহ দেশের দশটি সরকারি ও দশটি বেসরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০১৮ সালেই ইনস্টিটিউশন অফ এমিনেন্স হিসেব স্বীকৃতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রক। এবার সেইসব স্বীকৃতি প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের বাইরে ক্যাম্পাস খুলতে পারবে বলে জানাল ইউজিসি।

dafaa8ff82d12b6992b06f40f40fc781

নয়াদিল্লি: দেশের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দিল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ামক সংস্থা ইউজিসি বা UGC। আইআইটি সহ দেশের দশটি সরকারি ও দশটি বেসরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০১৮ সালেই ইনস্টিটিউশন অফ এমিনেন্স হিসেব স্বীকৃতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রক। এবার সেইসব স্বীকৃতি প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের বাইরে ক্যাম্পাস খুলতে পারবে বলে জানাল ইউজিসি।

এই নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে জারি করা এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস খুলতে পারবে এই স্বীকৃতি প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে প্রতি শিক্ষা বর্ষে একটি করেই ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি মিলেছে। তবে এক্ষেত্রে ক্যাম্পাস খোলার আগে শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি প্রয়োজন। স্বীকৃতি প্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে আইআইটি দিল্লি ও মুম্বই, বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, মণিপাল অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন ও বিটস পিলানি, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, জিও ইনস্টিটিউট।

জানানো হয়েছে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদেশে তাদের ক্যাম্পাস খুলতে চাইবে, তাদের শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে সম্পূর্ণ বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে একটি আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। সেই আবেদন পত্রে ক্যাম্পাসের আগামী ১০ বছরের শিক্ষা পরিকল্পনা, শিক্ষা প্রদান সংক্রান্ত নিয়ম, শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র ভরতি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সব কিছু নিয়েই বিস্তারিত তথ্য থাকবে। স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে তবেই বিদেশে তাদের ক্যাম্পাস খুলতে পারবে। এক্ষেত্রে এই তিন মন্ত্রকের অনুমতি বাধ্যতামূলক। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি প্রথমে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস খুলতে পারবে। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যে একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস তাদের তৈরি করতে হবে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ১০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করবে সরকার। তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কোনও অর্থ সাহায্য করা হবে না। কিন্তু তাদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে খবর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *