কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জেরে চলতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে জুন মাসে করার কথা ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত পরীক্ষার সূচিও প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষা সূচি অনুযায়ী ১৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, শেষ হচ্ছে ২ জুলাই। তবে সমস্ত প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা ১০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংসদের নোটিশে। এখন এই প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা নিয়েই সংশয় দেখা দিচ্ছে শিক্ষকদের একাংশের মধ্যে।
মাধ্যমিক সংসদ ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সংসদ যে পরীক্ষা সূচি দিয়েছে তাতে কোথাও উল্লেখ করা নেই যে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাক্টিস করানো হবে। অর্থাৎ সংসদ চাইছে কোনরকম অনুশীলন না করিয়েই প্রাকটিক্যাল এর চূড়ান্ত পরীক্ষায় শুধু নম্বর বসিয়ে দেওয়া হোক। এটা কোনভাবেই মানা যায় না বলে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। এই প্রেক্ষিতে পরীক্ষার আগে অন্তত এক মাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলের ল্যাবরেটরীতে প্র্যাকটিস করার অনুমতি চাওয়া হচ্ছে সংসদের কাছে। মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা একই দাবি জানিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে আর্জি জানিয়েছে তারা। এর আগে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা সূচি নিয়ে বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল। সেই নিয়ে ব্যাপকভাবে বিভ্রান্তিতে পড়ে ছিল শিক্ষার্থীরা, একই সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও। এবার প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার প্রেক্ষিতে সাময়িক সঙ্কোচ দেখা দিল শিক্ষকদের একাংশের মধ্যেই।
সংসদের পরীক্ষার সূচিতে তারিখ বিভ্রাট নিয়ে এর আগে উষ্মা প্রকাশ করেছিল শিক্ষক মহল। সংসদ কি একটু বেশি সচেতনতা দেখাতে পারে না, এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল তাদের তরফ থেকে। তবে প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এখনো পর্যন্ত ভিন্ন কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। তাই এ ব্যাপারে এখন কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু পরিষ্কার নয়। তবে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের নিয়ম যে শিক্ষক মহল ভালো চোখে দেখছে না তা একেবারে স্পষ্ট।